গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬ হাজার ৭৭২ জনে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ২৫২ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৫৭২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৯০ হাজার ৯৫১ জন।
বৃহস্পতিবার দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো ৩৫ জনের। শনাক্ত হয়েছিলেন দুই হাজার ৩১৬ জন।
গত বুধবার মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো ৩৮ জনের। শনাক্ত হয়েছিলেন দুই হাজার ১৯৮ জন।
শুক্রবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১১৮টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৫ হাজার ৫২৭টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৪৩০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ৪১১টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮২ দশমিক ৪৮ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।
একই সময়ে মৃত ২৪ জনের মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে দু'জন করে ৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ জন, রাজশাহী, সিলেট ও রংপুর বিভাগে একজন করে ৩ জন রয়েছেন। ২৪ জন হাসপাতালেই মারা গেছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৮০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৪২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯২ হাজার ১০৬ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৭৯ হাজার ১০৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৯৯৭ জন।
গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু মাদ্রাসা বাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।