গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪ হাজার ৭৫৯ জনে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ৮১২ জনের মধ্যে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৫১২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৪৩ হাজার ১৫৫ জন।
করোনা শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪টি পরীক্ষাগারে ১৩ হাজার ৮৪৭টি নমুনা সংগ্রহ হয়। আগের কিছু মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ২১৬টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৬টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪০ শতাংশ।
এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের পুরুষ ৩ হাজার ৭০৮ (৭৭ দশমিক ৯২ শতাংশ) এবং নারী এক হাজার ৫১ জন (২২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ)।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৬ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দু'জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১১ ও ষাটোর্ধ্ব ১০ জন রয়েছেন।
মৃতের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রামে ৪, রাজশাহীতে দু'জন ও রংপুরে একজন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪৩০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭১৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৭৭ হাজার ২০৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৫৯ হাজার ৩৬২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৭ হাজার ৮৪৭ জন।
গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু মাদ্রাসা বাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।