প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ জনে। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যার বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৮ জন। এতে দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮২ জনে।
শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইন বুলেটিন উপস্থাপনে যুক্ত হয়ে এ তথ্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
যে তিনজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজন ঢাকা, দুজন ঢাকার বাইরের। মৃতদের মধ্যে দুজন পুরুষ, একজন নারী। তাদের বয়স ৩৮, ৫৫, ৭৪ বছর।
ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও তিনজন। মোট সুস্থ হলেন ৩৬ জন।
ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার মিরপুর, বাসাবো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকার বাইরে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হলো নারায়ণগঞ্জ।
ব্রিফিংয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, কিছু কিছু এলাকায় লোকজনের উপস্থিতি বেশি। এছাড়া সকাল বেলা বাজারঘাটে অনেক মানুষ উপস্থিত হচ্ছেন। এতে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।
করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী যে সব নির্দেশনা দিয়েছেন তা মেনে চলতে হবে। ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এ সব নিয়ম মেনে চলতে হবে।
ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান, অধিদফতরের কর্মকর্তারা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই। আশা করি তাদের শ্রম বিফলে যাবে না। এরই মধ্যে ডাক্তার, পুলিশ, সেনা সদস্য বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন। তবু তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। সবাইকে আবারও বলি, ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন। নিজে বাঁচুন, অন্যদেরও বাঁচান।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত প্রায় সোয়া ১৭ লাখের বেশি। মারা গেছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ। তবে সাড়ে ৩ লাখের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও গত ক’দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। সবশেষ হিসাবে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮২। মারা গেছেন ৩০ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৩ জন।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে; যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।
এসআর