গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩ হাজার ৫৫৭ জনে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৬১৭ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৬৯ হাজার ১১৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৭৮২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৫৪ হাজার ৮৭১ জনে।
করোনা ভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৮৯২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং আগের কিছু মিলিয়ে ১৩ হাজার ১৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ফলে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ১৫ হাজার ৯০১ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
এ পর্যন্ত করোনায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৮১৩ জন (৭৮ দশমিক ০৮ শতাংশ) এবং নারী ৭৪৪ জন (২০ দশমিক ৯২ শতাংশ)।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৪৪ জনের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও নারী ১৩ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন এবং রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে ৩ জন করে ৬ জন, খুলনা বিভাগে ৭ জন, সিলেট বিভাগে ৪ জন, রংপুর বিভাগে দু'জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৪১ জন, বাড়িতে ৩ জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের উর্ধ্বে ২৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৮১৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৩৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৬০ হাজার ২০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৪০ হাজার ৩১২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ৭০৮ জন।
গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।
-এমএ