করোনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ |
![]() ফাইল ছবি গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দুই হাজার ৪৯৬ জনে। বৃহস্পতিবার দুপুরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, 'একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৭৩৩ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৯৬ হাজার ৩২৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৯৪০ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৬ হাজার ৯৬৩ জনে।' ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, 'মোট ৮০টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ হাজার ৫৪৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৮৮৯টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৯ লাখ ৯৩ হাজার ২৯১টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৭৩৩ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৯৬ হাজার ৩২৩ জনে।' তিনি বলেন, 'গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী। এদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১২ জন, ষাটোর্ধ্ব ১৫ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৪ জন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন ছিলেন।' ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, 'মৃতদের মধ্যে ১৮ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের, ৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৬ জন খুলনা বিভাগের, ৩ জন সিলেট বিভাগের, ৩ জন রংপুর বিভাগের, দু'জন বরিশাল বিভাগের ও একজন রাজশাহী বিভাগের।' তিনি বলেন, 'গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ২০ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত বিবেচনায় এখন পর্যন্ত সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৪৮ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।' ডা. নাসিমা বরাবরের মতো করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান বুলেটিনে। গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে। -এমএ |