'সৌদিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে'
Published : Wednesday, 8 April, 2020 at 11:39 AM Count : 435
সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. তৌফিক আল রাবিয়া বলেছেন, 'সম্প্রতি দেশি বিদেশি চারটি পৃথক সংস্হার এক গবেষণায় দেখা গেছে আগামি কয়েক সপ্তাহে সৌদি আরবে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ পর্যন্ত ছাড়িয়ে যেতে পারে। '
তিনি বলেন, 'সৌদি সরকার অনেক আগে থেকেই করোনা ভাইরাসের বিস্তাররোধে সম্ভব সর্বোচ্চ সকল সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। সৌদি আরবে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের তাদের ভাষায় প্রত্যেককে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।'
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছে, সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার হার ৫০ শতাংশ। তাই সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে সবাই সচেষ্ট হতে হবে।
এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদির যে সকল অঞ্চলে সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ ছিল, সে সকল অঞ্চলে বুধবার বিকেল ৩টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ ওই সকল অঞ্চলে ৪ ঘন্টা কারফিউ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর যেখানে ২৪ ঘণ্টা কারফিউ ছিল সেখানে ২৪ ঘন্টাই বলবৎ থাকবে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, দেশটির সকল প্রদেশে রেস্টুরেন্ট থেকে হোম ডেলিভারি অর্ডারের (যাদের ডেলিভারি দেয়ার অনুমতি রয়েছে) সময় সীমা রাত ১০টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
শষ্য (মাজরা), মৎস, ছাগল পালন-উৎপাদন ও পোল্ট্রি ফার্মের সস্ড সংশ্লিষ্টদের জন্য কারফিউ শিথিল থাকবে। এই খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত মালিকরা প্রতি সপ্তাহে একবার সৌদি কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে কারফিউ আওতামুক্তপত্র নবায়ন করে নিতে হবে।
একই ভাবে ইতোপূর্বে যাদেরকে কাজের স্বার্থে কারফিউর আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল তারা এসব এলাকায় অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত ভাবে চলাফেরা করতে পারবে। জনস্বার্থ বিবেচনায় এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
এদিকে, সৌদি আরবে গত ২৪ ঘন্টায় (০৭ এপ্রিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত) নতুন করে আরও ২৭২ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৭শ ৯৫ জন। সুস্হ্য হয়েছেন ৬শ ১৫ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪১ জন।
এখন পর্যন্ত শতকরা হিসাবে করোনায় মৃতদের মধ্যে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশিদের অসচেতনতা এবং নিজের প্রতি অবহেলাসহ সরকারের নির্দেশনা অমান্যের কারণে আরও বেশি প্রাণহানির আশংকা রয়েছে।
-এসসি/এমএ