অবশেষে বাংলাবান্ধায় চালক-হেল্পার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু
Published : Monday, 9 March, 2020 at 10:48 PM Count : 411
পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে দেশের অন্যতম স্থলবন্দর তেঁতুলিয়া বাংলাবান্ধায় বিভিন্ন যানবাহনের চালক-হেল্পারদের শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
সোমবার দুপুর হতে হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে জিরো পয়েন্টে মেডিকেল ক্যাম্প বসিয়ে ট্রাকের ড্রাইভার ও চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত ২৮ জানুয়ারি থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার পার্সপোর্টধারী পর্যটকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কারো শরীরে করোনার কোন উপসর্গ পাওয়া না গেলেও ছিল নানান আশঙ্কা। সম্প্রতি ভারতে করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বন্দরটিতে সর্বত্র জনমনে তৈরি হয় আতঙ্ক। এজন্য এখানকার সচেনতন মহল ও বন্দরের ব্যবসায়ীরা ইমিগ্রেশন পাসপোর্ট যাত্রীদের পাশাপাশি সকল যানবাহনের চালক-হেল্পারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা।
এদিকে দেশে ৩ জনের করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের ঘটনায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষে সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিভিল সার্জনের কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত এ সভায় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন সভাপতিত্বে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে লিফলেট বিতরণ ও হাত ধোয়া কমসূচি গ্রহণ। এছাড়া বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে যাত্রী সাধারণ ও ট্রাক চালক এবং সাহায্যকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে সাংবাদিকদের অবগত করা হয়। বন্দরটিসহ জেলায় সন্দেহজনক কাউকে করোনা আক্রান্ত মনে হলে জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালের চার তলায় পাঁচ শয্যা বিশিষ্ট একটি আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে তাদের ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হবে এমনটি জানানো হয়।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান এই চারটি দেশের সাথে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্যে অন্যতম ব্যস্ততম এ স্থলবন্দর। প্রতিদিন পাসপোর্টধারী যাত্রী আর ব্যবসা-বাণিজ্যে পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানী করা হয়ে থাকে এ বন্দর দিয়ে। চীনে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস থাবার পর দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের ন্যায় বাংলাবান্ধায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় মেডিকেল টিম বসানোর।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে গত ২৮ জানুয়ারি হতে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যালয়ের একটি কক্ষে করোনা শনাক্তে মেডিকেল টিম স্থাপন করা হয়। দুই শিফটে ১ জন মেডিকেল অফিসার, ১ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ও ১ জন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারী মেডিকেল টিম মৌখিক জিজ্ঞাসাবাদ ও থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শুধু পাসপোর্টধারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আসছিলেন। চারদেশের ব্যস্ততম এ স্থলবন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন যানবাহনের ড্রাইভার ও হেল্পারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করানো দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন বন্দরের সচেতন নাগরিক ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা। অবশেষে সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হবার পর সোমবার (৯ মার্চ) হতে চালক-হেল্পারদের করোনা পরীক্ষায় মেডিকেল টিম বসানোয় স্বস্তি প্রকাশ করছেন তারা।
এসকেডি/এইচএস