করোনার থাবায় ৪ হাজার ছাড়ালো প্রাণহানি |
![]() বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ২৭ জন। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৪২২ জন। এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চীনে। সেখানে ৮০ হাজার ৭৫৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছে ৩ হাজার ১৩৬ জন। বিশ্বের ১১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপরই এ ভাইরাস চীনের অন্যান্য শহরসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রমেই বাড়ছে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এ অবস্থায় মাস্কসহ অন্যান্য মেডিকেল সামগ্রী ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। করোনার প্রভাবে জনশূন্য হয়ে পড়ছে কোরিয়ার রাস্তাঘাট এবং শপিং মলগুলো। যাত্রীশূন্য দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানবন্দরগুলো। একশ’র বেশি দেশ এরই মধ্যে কোরীয় নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। এর ফলে বাতিল করা হয়েছে বহু ফ্লাইট। মৃত এবং আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ইরানেও। তবে দেশটির কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনা মোকবিলায় যথেষ্ট সক্ষম তারা। এরই মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির সরকার। প্রতিবেশী দেশ ভারতের আসামে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে অন্তত চারশ’ মানুষকে। সেই সঙ্গে ধীর গতিতে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। নতুন করে তিন বছরের এক শিশুর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে কেরালা সরকার। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রেও। ক্যালির্ফোনিয়া উপকূলে আটকে থাকা প্রমোদতরী গ্রান্ড প্রিন্সেস থেকে এসেছে নতুন রোগীর খরব। নতুন করে আক্রান্তের খবর আসছে মিসর, বেথেলহাম, পশ্চিম তীর, ইরাক, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে। উত্তর কোরিয়ায় দূতাবাস বন্ধ করেছে দিয়েছে বিভিন্ন দেশ। যদিও এখন পর্যন্ত করোনা রোগীর তথ্য নিশ্চিত করেনি পিয়ং ইয়ং। -এমএ |