গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩ হাজার ২৬৭ জনে।
বুধবার দুপুরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, 'একই সময়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৬৫৪ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৪ জনে। সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮৯০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৫০ জনে।'
তিনি বলেন, 'করোনা ভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৯৬৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১১ হাজার ১৬০টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ১২ হাজার ৪১৬।'
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, 'মৃত ৩৩ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও নারী ৮ জন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন এবং রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে একজন করে ৩ জন রয়েছেন।'
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দু'জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দু'জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩১ জন, বাড়িতে দু'জন।'
তিনি বলেন, 'গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৭৫৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৯৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৫৩ হাজার ৪০৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৫০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৪৫৫ জন।'
ডা. নাসিমা বরাবরের মতো করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান বুলেটিনে।
গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।