গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দুই হাজার ৭০৯ জনে।
মঙ্গলবার দুপুরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, 'গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৫৭ জনের দেহে। ফলে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ১০ হাজার ৫১০ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৮৪১ জন। এতে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ১৫ হাজার ৩৯৯ জনে।'
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, 'করোনা ভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ হাজার ১৪৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৮৯৮টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১০ লাখ ৫৪ হাজার ৫৫৯টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৫৭ জনের দেহে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ১০ হাজার ৫১০ জনে।'
তিনি বলেন, 'নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। শনাক্ত রোগী বিবেচনায় এ পর্যন্ত সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৯ শতাংশ।'
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, 'গত ২৪ ঘণ্টায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৪ জন ও নারী ৭ জন। এদের মধ্যে ২১ বছরের বেশি বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব দু'জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৬ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১২ জন, ষাটোর্ধ্ব ১১ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৭ জন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী দু'জন ছিলেন।
তিনি বলেন, 'মৃতদের ১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের ও একজন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।'
ডা. নাসিমা বরাবরের মতো করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান বুলেটিনে।
গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।
-এমএ