গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫ হাজার ৩৪৮ জনে।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ১২৫ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫৮৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৮১ হাজার ৬৫৬ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৯ হাজার ৭৩৯টি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ হাজার ৮৫৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৪টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ১১ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
একই সময়ে মৃত ২৩ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, রংপুর বিভাগে দু'জন, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট বিভাগে একজন করে ৪ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই ২২ জন ও বাড়িতে মারা গেছেন একজন।
মৃতের মধ্যে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৫৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৮২ হাজার ১৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৬৭ হাজার ৬৮১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৪ হাজার ৩৩৬ জন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু মাদ্রাসা বাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।
-এমএ