করোনায় ঢাকা বিভাগে বেশি মৃত্যু |
![]() গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫ হাজার ২১৯ জনে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ৪৮৮ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬২৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৭৩ হাজার ৬৯৮ জন। করোনা শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৬টি পরীক্ষাগারে দুই হাজার ৭৬৯টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১২ হাজার ৮৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ লাখ ৩৪ হাজার ২৫১টি। একই সময়ে মৃতের মধ্যে পুরুষ ২১ জন ও নারী ৫ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২৫ জন ও বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে একজনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের মধ্যে ২০ বছরের বেশি বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব দু'জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১৭ জন ছিলেন। ঢাকা বিভাগের ছিলেন ১৬ জন, চট্টগ্রামের ৫ জন, রাজশাহীর একজন, খুলনার দু'জন ও সিলেট বিভাগের ছিলেন দু'জন। এ পর্যন্ত মৃতের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৩৯ জন (৭৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ১৮০ জন (২২ দশমিক ২১ শতাংশ) ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। আর মোট রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৫ দশমিক ৬০ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু মাদ্রাসা বাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে। -এমএ যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় ১২৭ বাংলাদেশির মৃত্যু |