করোনায় যে ৩ বিভাগে মৃত্যু |
![]() গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫ হাজার ৮৩৮ জনে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ৩৩৫ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৪ লাখ ০১ হাজার ৫৮৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫২৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ১২৩ জন। সোমবার দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো ১৫ জনের। শনাক্ত হয়েছিলেন এক হাজার ৪৩৬ জন। গত রোববার মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো ২৩ জনের। শনাক্ত হয়েছিলেন এক হাজার ৩০৮ জন। মঙ্গলবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১১টি পরীক্ষাগারে ১২ হাজার ৩৮৬টি নমুনা সংগ্রহ ও ১২ হাজার ৬১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ লাখ ৮৩ হাজার ৯৭৪টি। একই সময়ে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ২২ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২০ জনের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব দু'জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১২ জন। একই সময়ে করোনায় মৃত ২০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রামে দু'জন ও খুলনা একজন রয়েছেন। গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু মাদ্রাসা বাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে। -এমএ যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় ১২৭ বাংলাদেশির মৃত্যু |