গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫ হাজার ৬৮১ জনে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ৬৩৭ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৩ লাখ ৯০ হাজার ২০৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬২৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ০৫ হাজার ৫৯৯ জন।
রোববার দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো ১৪ জনের। শনাক্ত হয়েছিলেন এক হাজার ২৭৪ জন।
গত শনিবার মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো ২৩ জনের। শনাক্ত হয়েছিলেন এক হাজার ২০৯ জন।
সোমবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১০টি পরীক্ষাগারে ১৫ হাজার ১৪৭টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৫ হাজার ১৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ লাখ ৭৮ হাজার ৭১৪টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
একই সময়ে করোনায় মৃত ২১ জনের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫ জন ও ষাটোর্ধ্ব ১৩ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রামে ৪ জন, রাজশাহী ৩ জন ও বরিশাল বিভাগের একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ২০ জন। বাড়িতে মারা গেছেন এক জন।
একই সময়ে আইসোলেশনে এসেছেন ১৩৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৯৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৮৪ হাজার ৩২৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৭১ হাজার ১২২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ২০৭ জন।
গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু মাদ্রাসা বাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।