করোনায় শনাক্তের সঙ্গে কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা |
![]() মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ২৯৩ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৪ লাখ ৬৭ হাজার ২২৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৫১৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৮৩ হাজার ২২৪ জন। সোমবার দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো ৩৫ জনের। শনাক্ত হয়েছিলেন দুই হাজার ৫২৫ জন। গত রোববার মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো ২৯ জনের। শনাক্ত হয়েছিলেন এক হাজার ৭৮৮ জন। মঙ্গলবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৮টি ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৯৫৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৫ হাজার ৫০১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ২০২টি। একই সময়ে নমুনা পরীক্ষার হার ১৪ দশমিক শূন্য ৭৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮২ দশমিক ০২ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩১ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী। এদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব দু'জন, ত্রিশোর্ধ্ব দু'জন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৭ জন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৯ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৩ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, রাজশাহীতে একজন, সিলেটে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজন রয়েছেন। গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু মাদ্রাসা বাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে। -এমএ যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় ১২৭ বাংলাদেশির মৃত্যু |