করোনায় মৃত্যুর সঙ্গে বেড়েছে আক্রান্তও |
![]() গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬ হাজার ৯২ জনে। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ৬৮৩ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৪ লাখ ২১ হাজার ৯২১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬২৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৬৮ জন। রোববার দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো ১৮ জনের। শনাক্ত হয়েছিলেন এক হাজার ৪৭৪ জন। গত শনিবার মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো ১৩ জনের। শনাক্ত হয়েছিলেন এক হাজার ২৮৯ জন। সোমবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১১৫টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার পাঁচটি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৪২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪৪টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৫৩ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৫ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও নারী ৮ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, খুলনা ও সিলেট বিভাগে ৩ জন করে ৬ জন। বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুই জন করে ৪ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ২৫ জন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে নয় জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এক জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এক জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৫০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৮১০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৮৭ হাজার ৪৬৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৭৫ হাজার ২৬৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ১৯৮ জন। গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু মাদ্রাসা বাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে। -এমএ যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় ১২৭ বাংলাদেশির মৃত্যু |