গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬ হাজার ২৭৫ জনে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ১১১ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৭৯৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮৯৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৮ জন।
মঙ্গলবার দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো ৩৯ জনের। শনাক্ত হয়েছিলেন দুই হাজার ২১২ জন।
গত সোমবার মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো ২১ জনের। শনাক্ত হয়েছিলেন দুই হাজার ১৩৯ জন।
বুধবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৭টি ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৫৯৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ১৬ হাজার ৪৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ২৫ লাখ ৮৯ হাজার ৪২১টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এছাড়া শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।
একই সময়ে মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২১ জনের মধ্যে ১০ বছরের কম বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৬ জন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৩ জন।
তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রামে ৩ জন, রাজশাহীতে একজন, খুলনা দু'জন, বরিশালে একজন ও রংপুর বিভাগে একজন রয়েছেন।
গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু মাদ্রাসা বাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।