রাজশাহীতে সাশ্রয়ী হতে বাইসাইকেলে ঝোঁক
Published : Friday, 30 September, 2022 at 3:12 PM Count : 241
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব জনজীবনে। খরচ কমাতে নানা পন্থা অবলম্বন করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। পরিবহণ খরচ কমাতে অনেকেই বাইসাইকেল ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছেন। এতে মহানগরীর বাইসাইকেল দোকানিরা দামও বাড়িয়েছেন।
শুক্রবার মহানগরীর রাণীবাজার মাদ্রাসা মার্কেটের বাইসাইকেল দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, চাহিদা বাড়তে থাকায় প্রায় প্রতিটি বাই সাইকেলের দাম ১ থেকে ২ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে।
মিনা স্টোর, রাজধানী, সালমান স্টোর, তুলি স্টোরের দোকানিরা জানান, অন্যান্য সময়ের চেয়ে বাইসাইকেলের বেচাবিক্রি বেড়েছে। মাউন্টেন মডেলের বাইসাইকেলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে বাজারে ৭ থেকে ১৫ হাজার টাকা বাজেটের বাই-সাইকেল বেশি কিনছেন ক্রেতারা।
সালাম বাই সাইকেল স্টোরের ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিক্রি বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হলেও ডলারের দাম বাড়ায় সব ব্র্যান্ডের সাইকেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ছোটদের যে বাইসাইকেল ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হতো। সেটা এখন ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তুলি সাইকেল স্টোরে এসে হাসনাত জামিল নামের এক ক্রেতা বাইসাইকেল পছন্দ করছিলেন। তিনি জানান, তার প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ টাকার বেশি খরচ হয় যাতায়াতে। এখন সব কিছুর দাম বেড়েছে। সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই কিছু অর্থ সাশ্রয়ের জন্য বাইসাইকেল কিনতে এসেছেন। কিন্তু দাম বেশি হাঁকছে দোকানিরা।
বাইসাইকেল স্টোরের ব্যবসায়ী শরিফ বলেন, অন্যান্য সাইকেলের তুলোনায় হিরো বাইসাইকেলের বিক্রি বেশি।
এদিকে, নতুন বাইসাইকেলের পাশাপাশি পুরনো বাইসাইকেল মেরামতও বেড়েছে। মেরামতের দোকানগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে অনেক বছর ধরে পড়ে থাকা বাইসাইকেল মেরামত করতে। নতুন পার্স লাগিয়ে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হচ্ছে।
রাণীবাজারের সাইকেল মিস্ত্রি শাহ আলম বলেন, বেশকিছুদিন ধরে পুরানো বাইসাইকেল মেরামত বেড়েছে। বহুদিনের ফেলে রাখা বাইসাইকেল এখন ঠিক কারতে নিয়ে আসছেন অনেকেই। প্রায় সকল পার্স পরিবর্তন করতে হচ্ছে। দিনে আগে যেখানে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় হতো। এখন ১ হাজার থেকে ১২ শো টাকা পর্যন্ত আয় হচ্ছে।
আরএইচ/এনএন