For English Version
শনিবার ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
হোম

ফসলি জমির উর্বর মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

Published : Saturday, 31 December, 2022 at 10:35 PM Count : 331

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ফসলি জমির উর্বর মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে ইটভাটায়। কৃষি উৎপাদনে জমির উর্বর মাটি চাষাবাদের জন্য খুবই উপকারী। তবে দু’ফসলি জমি থেকে উর্বর মাটি চলে যাওয়ায় কৃষি উৎপাদনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অবাধে জমির উর্বর মাটি কেটে ইটভাটায় নেয়া হলে তা প্রতিরোধে প্রসাশনের কোন হস্তক্ষেপ নিচ্ছেনা। ফলে কমলগঞ্জ উপজেলার সর্বত্রই জমির মাটি কেটে বিক্রির হিড়িক পড়েছে।
     
সড়জমিনে গেলে দেখা যায়, উপজেলার কালেঙ্গা, আদমপুর, মাধবপুর, মুন্সীবাজার, রাজদীঘিরপাড়সহ কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক হারে জমির উর্বর মাটি কেটে ট্রাক, ডায়রা ও ট্রেক্টার যোগে ইটভাটা সমুহে নেয়া হচ্ছে। স্তর বাঁধা কৃষিজমির মাঝখানে দেড় থেকে দুই ফুট পরিমাণ উর্বর মাটি কেটে নিচ্ছেন ইটভাটা মালিকরা। কালেঙ্গা এলাকায় রাস্তার ধারে চর্তুদিকে কৃষিজমির মাঝ থেকেই এসকেবেটর লাগিয়ে উর্বর মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে। অর্থাভাবে এসব কৃষক ইটভাটা মালিকদের কাছে জমির উর্বর মাটি বিক্রি করছেন। ভাটার মালিকরা ইট তৈরির কাজে তুলনামূলক কম দামে মাটি কিনে ভাটায় স্তুপীকৃত করছেন। প্রায় প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সব এলাকা থেকে মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে। ফলে আবাদি এসব জমি হারাচ্ছে উর্বরতা। মাটি কেটে নেয়ার ফলে কৃষির উৎপাদনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়ছে। পরিবেশেরও ক্ষতি বয়ে আনছে।
        
কৃষক জিয়াউল হক, কয়সর মিয়া, এনামুল হক, রাসেল হাসান বলেন, গরিব কৃষকরা  ধানের চারা রোপনের পর দোকান থেকে সার-কীটনাশক বাকিতে আনতে হয়। এরপর শ্রমিকের খরচসহ আনুষঙ্গিক খরচ লাগে। বাধ্য হয়েই কমদামে ধান বিক্রি ছাড়া কোন উপায় থাকে না।
        
কৃষকরা আরও বলেন, লোকসান দিয়ে ধান বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করতে হয়। আবার মহাজনরা যখন ধান কিনে নেন তখন ধানের দাম বেড়ে যায়। লাভ হয় মহাজনী ব্যবসায়ীদের। তাই অনেক সময় ইচ্ছের বিরুদ্ধেও জমির উর্বর মাটি বিক্রি করতে হয়। তবে জমির উপরের উর্বর মাটি কৃষির জন্য খুবই উপকারী বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন।
        
উপজেলার মাঠ পর্যায়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিলাশ সিনহা বলেন,‘কৃষিজমির উর্বর মাটি খুবই জটিল বিষয়। উর্বর মাটির ছয় ইঞ্চি পরিমাণ গভীরতা চাষাবাদ উপযোগী। এই মাটি সরিয়ে ফেলা হলে পরের বছর সমুহে ভালো ফলন হয় না। প্রচুর গোবর-সার দিয়ে মাটি তৈরি করতে হয়। জমিতে প্রচুর পরিমাণ কৃত্রিম সার লাগে। পুণরায় মাটির উর্বরতা সৃষ্টি হতে কমপক্ষে দশ থেকে পনের বছর সময় লেগে যায়। এটি কৃষিজমির জন্য খুবই ক্ষতিকর।’
        
কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘কৃষি জমির উর্বর মাটি কেটে নেয়ার অভিযোগ পেলে কটুরভাবে আইনি প্রদেক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

এসএস/এসআর


« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,