রাজশাহীতে চাহিদা বেড়েছে দেশি ফলের
Published : Saturday, 10 September, 2022 at 3:33 PM Count : 235
রাজশাহীতে আমদানি করা ফলের দাম বেড়েছে। ফলভেদে কেজিপ্রতি ৩০-৫০ টাকা দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এজন্য তারা আমদানি ঘাটতিকে দায়ী করছেন। তবে পুষ্টিগুণ সমান থাকায় এবং বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে চাহিদা বেড়েছে দেশে উৎপাদিত ফলের।
জেলার অধিকাংশ ফল ব্যবসায়ী ভ্যানে করে অথবা অস্থায়ী দোকান বসিয়ে ব্যবসা করেন। এখন বাজারে আমদানি করা ফলের চাহিদার মধ্যে রয়েছে আপেল, কমলা, মাল্টা, চেরি ও লাল আঙুর। আর দেশি ফলের মধ্যে রয়েছে বাতাবি লেবু, আনারস, পেয়ারা ও কলা। তবে রাজশাহীর বরেন্দ্র এলাকায় বর্তমানে ড্রাগন ফল ও সবুজ মাল্টা ব্যপক হারে চাষাবাদ হচ্ছে। এসব ফলের চাহিদাও বাড়ছে স্থানীয় বাজারে।
সরেজমিন মহানগরীর সাহেববাজার, লক্ষ্মীপুর, বিনোদপুর, ভদ্রা, উপশহর নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার ফলের বাজারগুলোতে তিন ধরনের আপেল বিক্রি হয়। যার মধ্যে ছোট আকারের অস্ট্রেলিয়ান আপেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। আর সবুজ আপেল ২৫০, রয়েল সালা আপেল ২৫০, কমলা ২৩০-২৪০ ও কমলা রঙের মাল্টা ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে বেদানা বা আনার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়। লাল আঙুর বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। বাজারে এখন সবুজ আঙুরের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
সাহেববাজার এলাকার ফল ব্যবসায়ী আশরাফ বলেন, তাদের কার্টন ধরে ফল কিনতে হয়। প্রতি কার্টনে থাকে ২০-২৫ কেজি ফল থাকে। সপ্তাহের ব্যবধানে তাদের কার্টুনপ্রতি ২০০-৪০০ টাকা বেশি দিয়ে ফল কিনতে হচ্ছে। আমদানিকারকরা বলছেন, জ্বালানি তেল ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশি দরে তাদের এসব পণ্য কিনতে হচ্ছে। এ কারণে তারা আমদানি করা ফলের দাম বেশি রাখছেন। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। তবে বাজারে দেশে উৎপাদিত ফলের সরবরাহ রয়েছে পর্যাপ্ত। সেগুলোর দাম তুলনামূলক কম।
ভদ্রা এলাকার ফল ব্যবসায়ী বিপ্লব বলেন, বিদেশি ফলের দাম কিছুটা বেশি। তবে বর্তমানে বাজারে দেশে উৎপাদিত নানা জাতের ফল রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাতাবি লেবু, আনারস, পেয়ারা ড্রাগন ফল ও সবুজ মাল্টা। বর্ষা মৌসুমে এমনিতেই বাতাবি লেবু ও আনারসের চাহিদা বেশি থাকে। তার ওপর ড্রাগন ফল ও সবুজ মাল্টা কিছুটা ফলের বাজার দখল নিয়েছে। ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। আর সবুজ মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, যেখানে আমদানি করা মাল্টার কেজি ২২০ টাকা।
আরএইচ/এনএন