খানাখন্দে ভরা কাথুলি-গাংনী সড়ক, কয়েক লক্ষ মানুষের চরম ভোগান্তি
Published : Sunday, 7 August, 2022 at 12:22 PM Count : 213
মেহেরপুরের কাথুলি-গাংনী আঞ্চলিক সড়কটি এক যুগেও সংস্কার না করায় খানাখন্দে ভরে গেছে। এই সড়ক ব্যবহার করা ২৫ গ্রামের কয়েক লাখ মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে মেহেরপুর পৌর শহরের উত্তরের শেষ সীমানা থেকে গাংনী উপজেলার কাথুলি বাজার পর্যন্ত সড়কটি ১০ কিলোমিটার । সদর ও গাংনী উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম উজলপুর, কুলবাড়িয়া, চাাঁদপুর, শিবপুর, সহোগলপুর, গাঁড়াবাড়িয়া, কাখুলি, তেঁতুলবাড়িয়া, ধলা, খাসমহল, রঙমহলসহ আশপাশের প্রায় ২৫টি গ্রামের মানুষ জেলা শহরের আসেন এ সড়ক দিয়ে। চাষিরা তাদের উৎপাদিত সবজিসহ অন্যান্য ফসল জেলা শহর ও অন্যত্র পাঠান এ সড়ক দিয়ে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর এলাকার উত্তরের শেষ থেকে গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম কাথুলির মোড় পর্যন্ত সড়কটি ভাঙাচোরা ও খানাখন্দে ভরা। কোনো কোনো স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতেই যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে ভোগ করতে হচ্ছে ভোগান্তি। কুলবাড়িয়া ও গাঁড়াবাড়িয়ি বাজারে জমে থাকে হাঁটু পানি। পণ্যবাহী ট্রাক গেলে আশে পাশের দোকানে নোংরা পানি ছিটকে পড়ে। সড়কটির গাঁড়াবাড়িয়া বাজারে সংস্কারের অভাবে একটি বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সব সময় জমে থাকে পানি।
সড়কটির পাশে অবস্থিত একটি কাপড়ের দোকানের মালিক মতিয়ার রহমান বলেন, দ্রুতগামী কোনো মাইক্রো কিংবা ট্রাক গেলে রাস্তার নোংরা পানি ছিটে এসে পড়ে দোকান ঘরের ভিতরে। ভোগান্তিতে পড়ে পথচারীরা নোংরা পানির জন্য। দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে পানি দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে গেছে।
মেহেরপুর বাস মালিক সমিতির নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত লেগুনা চলাচল করে। সড়কের বেহাল দশার কারণে লেগুনা চালকদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। সময়মত পৌঁছাতে পারছে না গন্তব্যে। ধলা গ্রামের লেগুনা চালক মকচেদ আলী বলেন, নেতারা তাদের বক্তব্যে দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে বলে বক্তৃতা দেন। কিন্তু তারা এই সামান্য রাস্তাটিও চোখে দেখেন না। গর্তে পড়ে আমাদের গাড়ি প্রায়শই বিকল হয়ে যায়।
গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের সব্জী ব্যবসায়ী আরজান শেখ ও মমিনুল ইসলাম প্রতিদিন ট্রাকভর্তি সবজি দেশের নানা প্রান্তে পাঠান। তারা বলেন, রাস্তাটি খারাপ হওয়ায় ট্রাক চালকরা ঐ রাস্তা দিয়ে যেতে চায় না। আবার গেলেও ভাড়া দাবি করে আকাশচুম্বি।
মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, কাথুলি সড়কটি কৃষি পণ্য বহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সড়কটি সংস্কারের জন্য কয়েক দফা আবেদন করা হয়েছে। তবে বরাদ্দ এখনো আসেনি। সংসদ সদস্য (গাংনী আসনের) সহিদুজ্জামান সড়কটি নতুনভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেছেন।
আরএ/এনএন