For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মুন্সীগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা

Published : Saturday, 21 October, 2023 at 11:39 AM Count : 1521


পুলিশের ধড়-পাকড় ও বাড়ি বাড়ি তল্লাশির কারণে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মুন্সীগঞ্জ বিএনপির নেতারা। দিনে কারো কারো দেখা মিললেও রাত হলেই চলে যায় আত্মগোপনে। 

পুলিশি হয়রানি ও গ্রেফতারের ভয়ে রাতে নিজ বাড়িতে ঘুমাতে পারছেন না বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের। আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি চূড়ান্ত আন্দোলনে যাচ্ছে-এমন শঙ্কায় পুলিশ বিএনপি নেতাদের দমন-পীড়নে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করে গ্রেফতার ও হয়রানি করছে বলে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভিযোগ।

জেলায় বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার ও হয়রানি তালিকার মধ্যে এক নম্বরে রয়েছেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহম্মেদ। 
তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও মুন্সীগঞ্জ সদর আসন থেকে নির্বাচিত পাঁচ বারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের ছোট ভাই। বিএনপির প্রবীন নেতা আব্দুল হাই দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তার অনুপস্থিতিতে তার ছোট ভাই মহিউদ্দিন আহম্মেদ জেলা বিএনপির হাল ধরেছেন। 

মহিউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বিএনপির সরকার বিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন হচ্ছে। গত ১৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির জনসমাবেশ ঘিরে মুন্সীগঞ্জে নতুন করে পুলিশের ধড়-পাকড় শুরু হয়। চার অক্টোবর রাত নয়টার দিকে পুলিশ বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন আহম্মেদকে তার মুক্তারপুরের বাসভবনে আটক করতে যায়। 

খবর পেয়ে এলাকার নারী-পুরুষেরা উত্তেজিত হয়ে বেরিয়ে আসলে পুলিশ ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে। এরপর থেকেই মহিউদ্দিন আহম্মেদ পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে অন্যত্র দিনযাপন করছেন। এরআগে গত ৩০ মে মহিউদ্দিন আহম্মেদকে পুলিশ গ্রেফতার করে তিনটি মামলায়। এসব মামলায় জামিন লাভের পরও জেলার  অন্য থানার পেনডিং মামলায় তাকে আটক দেখায়। 

সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ফকির জানান, একটি মামলায় জামিন পাবার পর আরেকটি গায়েবি মামলা দিয়ে আটকে রাখা হয় মহিউদ্দিন আহম্মেদেকে। এসব মামলায় দুই মাস জেলখাটার পর তিনি কারাগারমুক্ত হয়। কোন মামলা না থাকা সত্ত্বেও তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ মরিয়া হয়ে উঠেছে।    

তিনি আরো বলেন, গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মুক্তারপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে যুবদল কর্মী শহিদুল ইসলাম শাওন নিহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে পুলিশ মহিউদ্দিন আহম্মেদকে হয়রানি করছে পুলিশ। 

সংঘর্ষের ঘটনায় দুইটি মামলায় ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহম্মেদ ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনসহ এক হাজার ৩৬৫ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। 

জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ মাসুদ রানা বলেন, পুলিশের সাথে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষে যুবদল নেতা শাওন নিহত হওয়ার পর থেকেই  সরকার বিরোধী আন্দোলন গুলোতে চাপেরমুখে রয়েছেন মহিউদ্দিন আহম্মেদ। জেলার মুক্তারপুরে আয়োজিত প্রতিটি কর্মসূচি পালন হচ্ছে মহিউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে।    
  
মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, জেলায় অবস্থান করে এমন কোন নেতাই বাড়ি থাকতে পারছে না পুলিশের গ্রেফতার ও হয়রানির ভয়ে। পুলিশের গ্রেফতার মাথায় নিয়েই আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি চূড়ান্ত আন্দোলনে অংশগ্রহণ করবো আমরা।

তিনি আরো বলেন, যত বাঁধাই আসুক একদফার চূড়ান্ত আন্দোলনে মুন্সীগঞ্জ থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাবেশ ঘটানো হবে পল্টনের মহাসমাবেশে। 

কেন্দ্রীয় বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতন বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচিকে সামনে রেখে পুলিশ আওয়ামী লীগের ভূমিকা পালন করছে। তারা মুন্সীগঞ্জ জেলায় যুবদল নেতা মুজিবুর, ছাত্রদল নেতা হুমায়ুন, মিজানসহ অন্তত ২৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। 


এমবি


« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,