দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিব, অর্ধেক শাস্তি স্থগিত
Published : Tuesday, 29 October, 2019 at 6:51 PM Count : 347
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে সেটাকে প্রত্যাখ্যান করলেও আইসিসি কিংবা বিসিবিকে না জানানোর কারণেই এই শাস্তি আরোপ করা হলো ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কোডের তিনটি আইন লঙ্ঘনের অপরাধ সাকিব মেনে নেওয়ার পর এ শাস্তি দিয়েছে আইসিসি।
আকসুর কাছে তথ্য না জানানোয় এ শাস্তি পেয়েছেন সাকিব। ভবিষ্যতে একই অপরাধ হলে স্থগিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
তবে, দোষ স্বীকার করার কারণে, ১ বছরের শাস্তি স্থগিত করেছে আইসিসি। আইসিসির পক্ষ থেকেই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই শাস্তি আজ ২৯ অক্টোবর থেকেই কার্যকর হবে। আগামী বছর ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর তিনি নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হবেন।
দুই বছর আগে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে একজন জুয়াড়ির কাছ থেকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ওই প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেন, কিন্তু আইসিসি অথবা বিসিবিকে বিষয়টা জানাননি। এর মধ্যদিয়ে আকসুর তিনটি ধারার লঙ্ঘনের অপরাধ করেন সাকিব।
আকসুর ধারা ২.৪.৪ আর্টিকেলের যে তিনটি অপরাধ সাকিব করে ছিলেন, সেগুলো হচ্ছে -
১. ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়েকে নিয়ে বাংলাদেশের যে ত্রিদেশীয় সিরিজ হয়েছিল কিংবা ২০১৮ আইপিএলে প্রথম ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান সাকিব। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে কোনো কিছুই জানাননি।
২. একই ধারার অধীনে অপরাধ : ২০১৮ সালের জানুয়ারীতে ত্রিদেশীয় সিরিজের সময়ই আরো একটি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু সে বিষয়েও তিনি আইসিসিকে অবহিত করেননি।
৩. ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যকার ম্যাচেও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু সে বিষয়েও তিনি আইসিসি কিংবা সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি দমন সংস্থাকে কিছুই জানাননি।আইসিসি তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে সাকিবের বিরুদ্ধে। তিন ম্যাচে সাকিবের কাছে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে আইসিসি এবং সে সব বিষয়ে তারা প্রমাণও সংগ্রহ করেছে।
এইচএস