রংপুর রেঞ্জার্সকে ১৩৪ রানের লক্ষ্য দিলো সিলেট থান্ডার। সোমবার টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান সংগ্রহ করে সিলেট।
মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে রংপুর অধিনায়ক শেন ওয়াটসন টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন।
ফিল্ডিংয়ের নেমে সিলেটের ইনিংসের প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন আরাফাত সানি, ফিরিয়ে দেন আন্দ্রে ফ্লেচারকে। সে ওভারে কোন রান খরচা করেননি সানি।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ১ রান দেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দুই ওভারে সিলেটের ওপর তৈরি করা চাপ চতুর্থ ওভারে আরও বাড়িয়ে দেন তরুণ পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। তিনি সাজঘরে ফেরত পাঠান আরেক ক্যারিবীয় ওপেনার জনসন চার্লসকে। ১১ বল খেলে মাত্র ৯ রান করতে সক্ষম হন চার্লস।
শুরুর ধাক্কা সামলে তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে জুটি গড়েন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দু'জন মিলে ৮.১ ওভারে যোগ করেন ৫৭ রান। যেখানে মারমুখী ভঙ্গিতে ছিলেন মিঠুন। অধিনায়ক মোসাদ্দেক ধীরে সুস্থে খেলে আউট হন ২৩ বলে ১৫ রান করে।
তবে আসরে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন মিঠুন। এক ম্যাচ আগে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকলেও, আজ মোহাম্মদ নবীকে সোজা ছক্কার মারে পৌঁছে যান পঞ্চাশের ঘরে। শেরফান রাদারফোর্ডের সঙ্গে ১৭ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু রাদারফোর্ড ৯ বলে ১৬ রানে আউট হওয়ার পর শেষ হয়ে যায় বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা।
ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ২ ছয়ের মারে ৪৭ বলে ৬২ রান করেন মিঠুন। সপ্তম উইকেটে ২০ রান যোগ করেন নাইম হাসান ও সোহাগ গাজী। ইনিংসের শেষ ওভারে প্রথম দুই বলে দুজনকেই আউট করেন মোস্তাফিজুর রহমান। হ্যাটট্রিক বলে তিনি উইকেট পাননি, তবে রানআউট হয়ে ফিরে যান মনির হোসেন। শেষতক ইনিংস থামে ১৩৩ রানে।
বল হাতে রংপুরের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন মোস্তাফিজ। এছাড়া ১টি করে উইকেট যায় আরাফাত সানি, মুকিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ নবী ও লুইস গ্রেগরির ঝুলিতে।
একাদশ
সিলেট : মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ মিঠুন, নাজমুল হোসেন মিলন, সোহাগ গাজী, নাইম হাসান, মনির হোসেন, এবাদত হোসেন, আন্দ্রে ফ্লেচার, জনসন চার্লস, শেরফান রাদারফোর্ড ও নবীন উল হক।
রংপুর : মোহাম্মদ নবী, লুইস গ্রেগরি, শেন ওয়াটসন, ক্যামেরন ডেলপোর্ট, মোস্তাফিজুর রহমান, নাইম শেখ, আরাফাত সানি, ফজলে মাহমুদ, জহুরুল ইসলাম, আলআমিন জুনিয়র ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।
-এমএ