কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে ১৬০ রানের লক্ষ্য বেধে দিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স আর জুনায়েদ সিদ্দিকী। ৬৯ বলের ঝড়ো উদ্বোধনী জুটিতে তারা তোলেন ১০৩ রান।
থিতু হয়ে যাওয়া এই জুটি যখন চোখ রাঙাচ্ছিল, তখন কুমিল্লার মুখে হাসি ফোটান বোলার সৌম্য সরকার। হাফসেঞ্চুরিয়ান সিমন্সকে সানজামুলের ক্যাচ বানিয়ে বড় ওপেনিং জুটিটা ভাঙেন ডানহাতি এই পেসার। ৩৪ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় সিমন্স করেন ৫৪ রান। সেই শুরু।
তিন বল ব্যবধানে পরের ওভারেই রানআউট হয়ে যান আরেক সেট ব্যাটসম্যান জুনায়েদ। ৩৭ বলে ৬ চারে তিনি তখন হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় (৪৫)। তার পরের ওভারে ফের আঘাত সৌম্যর। এবার তার শিকার রায়ান বার্ল (২)।
ওভারে ওভারে উইকেট হারানোর সেই গতিটা থামেনি তাতেও। ১৫তম ওভারে ৯ রান করে সানজামুলের কাছে উইকেট দেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। এরপর প্রায় একাই দলকে টেনে নেয়ার চেষ্টা করেছেন জিয়াউর রহমান। মাঝে নুরুল হাসান সোহান (৪), লিয়াম প্লাংকেটরা (৪) সেভাবে সঙ্গ দিতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন জিয়া। ২১ বলে ৪ ছক্কায় তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে।
কুমিল্লার পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল সৌম্য সরকার। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচায় তিনি নেন ২টি উইকেট।
একাদশ
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : লিন্ডন সিমন্স, জুনায়েদ সিদ্দিকী, ওয়ালটন (অধিনায়ক), নুরুল হাসান, পিনাক ঘোষ, রায়ান বার্ল, লিয়াম প্লানকেট, রুবেল হোসাইন, নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান ও জিয়াউর রহমান।
কুমিল্লা ওয়ারির্স : ডেভিভ মালান অধিনায়ক, রবিউল ইসলাম, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মাহিদুল ইসলাম (উইকেররক্ষক ব্যাটসম্যান), মুজিব-উর-রহামান, আল আমিন হোসাইন, ডেভিভ ওয়াইজ, আবু হায়দার রনি ও সানজামুল ইসলাম।
-এমএ