কলেজ শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি
Published : Monday, 17 December, 2018 at 6:13 PM Count : 358
মানিকগঞ্জে এক কলেজ শিক্ষককে হত্যার হুমকি দিয়েছে ‘তৌহিদি জনতা’ নামে একটি সংগঠন। সংগঠনটির পক্ষে ১০৭, থানা রোড, সাভারের ঠিকানায় জনৈক গাউছুল আযম প্রেরিত চিঠিতে কলামিস্ট ও কলেজ শিক্ষক শ্যামল কুমার সরকারকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে লেখা রয়েছে, “শ্রদ্ধেয় স্যার, আসসালামুআলাইকুম্, আপনাকে অনেক বার মোবাইল করেছি, ধরেননি। বাধ্য হয়ে লিখছি। আমরা জানি আপনি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ছিটকা খাজা রহমত আলী কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যপক ও বিভাগীয় প্রধান। অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে আপনি অধ্যাপনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে আমরাও খুশি। কিন্তু আপনি বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় কলাম লিখেন ও আপনি বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ মানিকগঞ্জের সভাপতি। বিষয়টি আমাদের মোটেও ভাল লাগছে না। দয়া করে আপনি পত্রিকায় লেখালেখি ও সাক্ষাৎকার প্রদান বন্ধ করুন। আমরা জানি আপনি একজন খাঁটি ভদ্রলোক। কিন্ত হাই কমান্ডের নির্দেশ আমাদের মানতেই হবে। আমাদের সোর্স আপনাকে নিয়মিত ফলো করছে। এক মাসের মধ্যে লেখালেখি ও সাক্ষাৎকার প্রদান বন্ধ না করলে কলমের সঙ্গে আপনার জীবনও থামিয়ে দিতে হবে।”
উল্লেখ্য, শ্যামল কুমার মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা খাজা রহমত আলী কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন দৈনিকের কলাম লেখক ও বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ, মানিকগঞ্জ জেলার সভাপতি। এবিষয়ে তিনি মানিকগঞ্জ সদর থানায় গত ২৮ নভেম্বর মানিকগঞ্জ সদর থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেন।
তিনি জানান, গত ২৭ নভেম্বর বিকেল পাঁচ টায় মানিকগঞ্জ শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকায় তার বাসভবনে প্রেরিত একটি চিঠিতে এক মাসের মধ্যে বিভিন্ন দৈনিকে লেখালেখি ও চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেয়া বন্ধ না করলে কলমের সঙ্গে জীবনও থামিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।
তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে অনেক দিন ধরে পত্রিকায় লিখছি। লিখতে ভালোলাগে। কখনোই লেখার মাধ্যমে আমি কারো অনুভূতিকে আঘাত করিনা। আমার সঙ্গে আপনার দর্শনের অমিল থাকাটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। তাই বলে আপনি আমাকে হত্যার হুমকি দেবেন? আমার কি লেখার স্বাধীনতা নেই? আমি কেমন দেশের নাগরিক? লেখকদের নিরাপত্তা কে দেবে? কেন আমাকে লেখালেখি বন্ধ করতে হবে?”।
এ ব্যাপরে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান জানান, আমার সঙ্গে শ্যামল কুমার যোগাযোগ করলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এইচআইএস/এইচএস