For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

মাদ্রাসা সুপার-সভাপতির নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন

Published : Sunday, 26 May, 2024 at 4:19 PM Count : 181


লালমনিরহাটে ভূড়িধোয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা আবুল বাশার নাঈমী ও সভাপতি মমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বার বার নিয়োগ বাণিজ্য ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। 

নিয়োগের নামে বাণিজ্যের প্রতিবাদে এবং নিয়মিত ক্লাস চালুর দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।

রবিবার সকালে সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের মোস্তফী ভূড়িধোয়া দাখিল মাদ্রাসা  মাঠে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে দুই শতাধিক এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সাবেক ইউপি সদস্য সাইরুল ইসলাম, মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য এরশাদুল হক, অভিভাবক সিরাজুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, মনতাজুর রহমান সহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার কোনো পরিবেশ নেই মাদ্রাসাটিতে। ফলে প্রকৃত শিক্ষা ও জ্ঞানর্জন থেকে বঞ্চিত স্থানীয় শিশু-কিশোররা। অথচ কর্মচারী নিয়োগের নামে একের পর এক ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে নিয়োগের নামে বাণিজ্য করছে সভাপতি ও সুপার।

মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য এরশাদুল হক বলেন, 'নিরাপত্তাকর্মী' ও 'আয়া' পদে গত ২০২০ সালে পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষায় নিরাপত্তাকর্মী পদে ইয়াছিন আলী এবং আয়া পদে তহমিনা বেগমকে নির্বাচিত ঘোষণা করে চুড়ান্ত ফলাফল লিখিতভাবে দেয় নিয়োগ কমিটি। কিন্তু চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হওয়ার পরেও পদ দুটিতে তাঁদের নিয়োগপত্র না দিয়ে তাঁদের কাছে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবুল বাশার নাঈমী দশ লক্ষ টাকা দাবী করে। বাধ্য হয়ে তারা সহায়সম্বল বিক্রি করে সুপারের হাতে দশ লক্ষ টাকা দেয়।

ইয়াছিন আলী বলেন, দীর্ঘদিন টালবাহানার পর গত ২৩ মার্চ সকাল ১১ টার দিকে পূর্বের নির্বাচিত প্রার্থী আমাদের দুইজনকে ওইদিনই পূণরায় নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য মাদ্রাসার দপ্তরীকে দিয়ে চিঠি পাঠায়। আমরা চিঠি পেয়ে মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে প্রথম নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল সিট দেখালে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে গত ২৮ মার্চ জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও দেই আমি। সেই অভিযোগের সুরাহা না হলে গত এপ্রিল মাসে আমরা নিয়োগ কমিটির পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করি। সেই মামলা হওয়ার পরেও গত ১৯ মে আবারও নিয়োগ পরীক্ষার একটি চিঠি পাই আমরা। চিঠিতে পরীক্ষার তারিখ ছিল ১৭ মে। দুইদিন আগে হয়ে যাওয়া পরীক্ষার জন্য দুইদিন পরে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চিঠি পেয়ে আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি। বার বার নিয়োগ পরীক্ষার নামে অবৈধভাবে ঘুষ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে তারা আবারও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। একই পদে নিয়োগের জন্য একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে সভাপতি ও সুপার। 


এদিকে অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদ্রাসাটির এবতেদায়ী শাখায় তিনজন শিক্ষক থাকলেও একজন শিক্ষার্থীও নেই ওই শাখায়। এমনকি ওই শিক্ষকরা মাদ্রাসাতেও আসেন না। অথচ তারা নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। এছাড়া মাদ্রাসাটির অন্যান্য বিষয়ের সকল শিক্ষক নিয়মিত মাদ্রাসায় না এলেও নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। 

অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি মমিনুল ইসলাম বলেন, প্রথম নিয়োগ পরীক্ষার সময় আমি সভাপতি ছিলাম না। আমার সময়ে যে নিয়োগের প্রক্রিয়া হয়েছে তার জন্য মাদ্রাসার সুপার এবং গোকুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্কেদুর রশিদ টোটনকে জিজ্ঞেস করুন, তাঁরা বলতে পারবেন।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার আবুল বাশার নাঈমী এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লিপিকা দত্তের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও এবিএম আরিফুল হক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে দেখবো।

এমএস/এমবি

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,