For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

জলঢাকায় আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াইয়ের ধুম

Published : Sunday, 6 October, 2024 at 12:40 PM Count : 46

নীলফামারীজলঢাকায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম পড়ছে। আশানুরুপ ফলন ও ভালো  দাম পাওয়ায় কৃষকের চোখে মুখে এখন হাসির ঝিলিক। কৃষকরা বাড়তি লাভ হিসেবে চাষাবাদ করছেন স্বল্পমেয়াদী এই আগাম জাতের আমন ধান। এ ধানের কাঁচা খড় গো-খাদ্য  হিসেবে বেশী দামে বিক্রি হওয়ায় বাড়তি আয় হচ্ছে কৃষকদের। 

এ উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ সারা বছরই সবুজে ছেয়ে থাকে। জমিগুলোতে তিন থেকে চারটি ফসল হওয়ায় আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় তিন হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে ১০ হাজার ৪৪০ মেট্রিক টন আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। হেক্টর প্রতি এসব ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে গড়ে  ৪ দশমিক ৩ থেকে ৬ দশমিক ৪ মেট্রিক টন। এর মধ্যে আগাম জাতের আমন ধান রয়েছে হাইব্রিড ও উফশি জাতের তেজগোল্ড, ব্রী- ৯০, বিনা- ১৭, সম্পাকাটরি, জাঁপাড়ি, ধানিগোল্ডসহ আরও বিভিন্ন জাত। উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় এই আগাম জাতের আমন ধান সবচেয়ে বেশি চাষারাদ হয়েছে।

শনিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাঠে মাঠে আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে। কেউ ধান কাটছে, কেউ আবার ধান কেটে কাঁধে করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন, কেউবা ধান মাড়াই করে বস্তায় ভরছেন। আবার অনেকে ধান কাটার পর আগাম আলুসহ শীতকালীন রবিশস্য চাষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ জন্য মাঠে কিশান কিশাণীদের চরম ব্যস্ততা, যেন দম ফেলার ফুসরত নেই। অগ্রহায়ণ নয়, নিষ্ফলা আশ্বিনে মঙ্গাজয়ী আগাম জাতের ধানের বাম্পার ফলন ও ভালো বাজার মূল্য কৃষক পরিবারে এনেছে সমৃদ্ধির হাসি। 
এদিকে, ধানের পাশাপাশি গো-খাদ্যের জন্য কাঁচা খড়ের ভালো ব্যবসা চলছে। চাহিদা থাকায় মাঠে মাঠে ধানের কাঁচা খড় কেনার জন্য ব্যবসায়ীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। ধান কাটা, মাড়াই শেষে তারা খড় কিনে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। অপরদিকে কৃষক মাঠের খড় বিক্রি করে কিছুটা জমি চাষের খরচ তুলছেন। বাজারে ধানের দামের সাথে খড়ের দাম বেশি পেয়ে বাড়তি আয়ের মুখ দেখছেন কৃষকরা। এ বাড়তি আয়ের মাধ্যমে  আলুসহ অন্যান্য রবি ফসল চাষে খরচ মেটাচ্ছেন কৃষক।

খুটামারা ইউনিয়নের খালিশা খুটামারা গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর বলেন, এক সময় আগাম আলু চাষের জন্য জমি ফেলে রাখা হতো। এখন স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন আগাম জাতের ধান আবিষ্কার হওয়ায় জমি ফেলে রাখা হয় না। ধানের পর আগাম আলু চাষ করলে আলুর ফলন ভালো হয়, দামও ভালো পাওয়া যায়। তাই ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই জমিগুলোতে প্রতি বছর আগাম ধান, আলু, ভুট্টাসহ চার ফসল উৎপাদন হচ্ছে। এতে করে আমরা লাভবান হচ্ছি।

কৃষক বেলাল বলেন, এ বছর তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের ধান লাগিয়েছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে এক বিঘা জমির ধান কেটেছি। বাজারে দামও ভালো পেয়েছি। ধান কাটা শেষে এসব জমিতে আগাম আলু রোপণ করবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ বলেন, কৃষকরা আগাম জাতের ধান কাটা ও মাড়াই কাজ শুরু করেছেন। ধান কাটার পর ওই জমিতে আলু রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। দামও পাচ্ছেন ভালো।

-এইচএস/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,