ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠেছে লিচুর বাজার
Published : Sunday, 26 May, 2024 at 4:11 PM Count : 239
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ফলের রাজ্য খ্যাত বিজয়নগর উপজেলা, মধুমাসে রসালো ফল লিচু বাজারে বেচাকেনার ঘুম লেগেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লিচুর বাম্পার ফলন থেকে একটু পিছিয়ে থাকলেও ফলন যথেষ্ট ভালো হয়েছে, এ বিষয়ে বাগান মালিকদের অভিযোগ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অবহেলার কারণে গাছের সঠিক পরিচর্যা বিঘ্ন হওয়ায় ফলন কম হয়েছে এবং ফলঝরা ও ফাটা রোগ দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ জানান, এ উপজেলায় অতি প্রাচীনকাল থেকে লিচুর আবাদ হয়ে থাকলেও ১৯৯৮ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে লিচুর আবদ হচ্ছে।
৯৫০ টি এর অধিক লিচু বাগান ও ৪৩০ হেক্টর ভূমিতে এর আবাদ হয়েছে, প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকলে ২০ কোটি টাকার লিচু বিক্রির সম্ভাবনা বলে আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বৈরী আবহাওয়া ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা তীব্র গরমে লিচু গাছের গোড়ায় পানির শূন্যতা দেখা দেওয়ায় লিচুর আকার ছোট এবং মিষ্টতা কিছু কমেছে, পানির সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করাতে পারলে ফলন যথেষ্ট পরিমাণ ভালো হতো, অনেকেরই বাগান আছে প্রাকৃতিক উপায়ে বৃষ্টিই তাদের একমাত্র ভরসা কিন্তু ভিন্ন উপায়ে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে পারলে অনেক ভালো ফলন, ও রোগবালাই থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব ।
তারপরও গত বছরে তুলনায় এবছরের লিচুর বাজার দাম একটু বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি।
পাহাড়ি লালমাটি লিচু ভালো ফলনের উত্তম জায়গা, উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউপি, বিষ্ণুপুর ইউপি, পাহাড়পুর ইউপি ও হরষপুর ইউপির প্রায় সব গ্রামে লিচুর আবাদ হয়ে থাকে এবং হরষপুর চম্পকনগর, সিঙ্গার বিল ও আউলিয়া বাজার লিচুর পাইকারি হাট বসে, ভোর ৫ টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত এহাট স্থিতি থাকে।
এ বিষয়ে উপজেলার পাহাড়পুর ইউপির কচুয়া মুরা গ্রামের কৃষক আবু তাহের মিয়া জানান, প্রচন্ড খরায় পানি ঠিকভাবে দিতে ব্যাহত হওয়ায় লিচু কিছুটা ছোট এবং ফলন কম হয়েছে কিন্তু গতবছরে তুলনায় এ বছরে দাম একটু বেশি হওয়ায় আমাদের কোন ঘাটতি নেই। বিভিন্ন জাতের লিচু থাকলেও চায়না থ্রি আমাদের এলাকায় নেই বললেই চলে, এ জাতের লিচু আকারে বড় এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে, এছাড়াও, পাটনাই, চায়না-২ ও এলাচি জাতীয় লিচুর ফলন হয়।
তিনি আরো জানান, আশেপাশের উপজেলার ও বড় বড় শহরের লোকেরা মোটরসাইকেল এবং প্রাইভেটকার নিয়ে হুমরি খেয়ে পড়ে লিচুর জন্য। আমার গাছের লিচু বাজারে নিতে হয় না বাড়ি থেকে তা বিক্রি হচ্ছে। লিচুর দর প্রতি হাজার ৩ হাজার টাকা।
এসআর/এমবি