মির্জাগঞ্জে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি
Published : Sunday, 26 May, 2024 at 3:55 PM Count : 132
ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল'র প্রভাবে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রোববার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে ও থেমে থেমে দমকা বাতাস বইছে। উপজেলায় ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে চারটি মেডিকেল টিম এবং একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত রয়েছেন শিক্ষকরা।
এদিকে, পায়রা ও শ্রীমন্ত নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
রোববার সকাল ১০টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পায়রা সমুদ্রবন্দর এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখতে বলার পর পরই মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা পৃথক পৃথক ভাবে সচেতনামূলক মাইকিং অব্যাহত রেখেছে। পায়রা নদীর তীরবর্তী এলাকায় গিয়ে বেড়িবাঁধের পার্শ্বে বসবাসরত বাসিন্দাদের নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদে থাকার জন্য বলা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন থেকে ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' মোকাবেলার জন্য ১৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, শিশু খাদ্যের জন্য ৫০ হাজার এবং গো-খাদ্যের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়াও নগদ অর্থ রয়েছে এক লক্ষ টাকা। স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন যারা ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবেন। প্রস্তুত করা হয়েছে চারটি মেডিকেল টিম। খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম। এছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট রয়েছে ২০ হাজার।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মির্জাগঞ্জ উপজেলা ইউনিটের দলনেতা মো. রাব্বি মল্লিক জানান, আবহাওয়া দপ্তর থেকে পায়রা বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলার সাথে সাথে আমরা উপজেলার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সদস্যরা সচেতনতামূলক মাইকিং করে যাচ্ছি। উপজেলা পায়রা নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি।
-কেবি/এমএ