দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও বাগেরহাটের সর্ববৃহৎ ১৬ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত মোরেলগঞ্জ উপজেলার হাট বাজার গুলোতে সর্বত্রই এখন নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব। অবাধে বিক্রি ও ব্যবহার হচ্ছে এই নিষিদ্ধ পলিথিন।
সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পন্য সামগ্রীর সাথে এই ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। ফলে রাস্তাঘাট নদী-নালা ড্রেন সবকিছুইতেই পলিথিনের আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পলিথিনের শপিং ব্যাগের ক্ষতিকারক বিষয় সমূহ বিবেচনা করে ২০০২ সালের ৮ এপ্রিল সরকারি এক সিদ্ধান্তে সকল প্রকার পলিথিনের উৎপাদন ,আমদানি ,বাজারজাতকরণ প্রদর্শন ,মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য পরিবহন ও ব্যবহার সম্পুর্ন্ন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
এই প্রজ্ঞাপন জারির পর কিছুদিন পলিথিনের ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ ছিল। কিন্তু এই প্রজ্ঞাপন জারির পরও আইনী প্রয়োগ না থাকায় মোরেলগঞ্জ পৌরসদর বাজারসহ উপজেলার সর্বত্রই প্রকাশ্যে পলিথিনের তৈরি ব্যাগের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে ছোট বড় মিলিয়ে অর্ধ শতাধিক হাটবাজার রয়েছে। হাট বাজার ছাড়াও পাড়া মহল্লা এবং রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা দোকান সমুহে পণ্য সামগ্রী কেনা-বেচার সাথে পলিথিনের ব্যাগ দেওয়ায় এর ব্যবহার বেড়েই চলছে।
অনায়াসে এসব নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার করা হলেও নেই কোন প্রশাসনিক তৎপরতা। মোরেলগঞ্জ পৌর সদর বাজার, সন্ন্যাসী, খাউলিয়া, পল্লীমঙ্গল, গুলিশাখালী, আমতলী, তেতুলবাড়িয়া, ফুলহাতা, বহরবুনিয়া, পাঁচগাও, সোনাখালী, কালিকা বাড়ি নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জের হাটবাজার ও ছোট-বড় স্থানে হরহামেশায় বিক্রি হচ্ছে এসব নিষিদ্ধ পলিথিন। এতে মাটি পানি ও পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে ।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শর্মি রায় বলেন, পলিথিন পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। এটি মানুষ ও পরিবেশের জন্য দুর্যোগ ও দুর্ভোগ বয়ে আনে।
এ বিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী জানান, পলিথিন মাটিতে পঁচে না এবং মাটির উর্বর শক্তি কমিয়ে ফেলে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এখন আর ক্রেতারা ব্যাগ নিয়ে বাজারে আসে না তাই বেচাকেনার স্বার্থে পলিথিনের ব্যাগ দিতে হয়।
এমবি