পলিনেট হাউজে শাক-সবজি চাষে আশার আলো দেখছেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকরা।
জলবায়ু পরিবর্তনে কৃষক ফসল উৎপাদনে নানা ঝুঁকি মোকাবেলা করে কৃষক তাদের আশানুরুপ ফসল ঘরে তুলতে না পারায় ক্ষতির মুখে পরছেন ।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে পলিনেট হাউজ। এই পদ্ধতির মাধ্যমে সুস্থ্য-সবল ও বিষমুক্ত নানা রকম শাক-সবজি উৎপাদন করছেন উপজেলার কৃষকরা। বীজতলার পরিবর্তে পলিনেট হাউজের তৈরী চারা ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছেন তারা । জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃষি বিজ্ঞানের উদ্ভাবন ‘পলিনেট হাউসে’র মাধ্যমে কৃষকরা এখন যেকোন মৌসুমের ফসল উৎপাদন করতে পারছেন।
জেলার পাচঁবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের আটাপাড়া গ্রামের ইয়াহিয়া মন্ডল বাবু প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১’বিঘা জমিতে পলিনেট হাউজ করেছেন । ইয়াহিয়া বলেন, প্রথমে সবজি চাষ করলেও এখন শুধু উন্নতমানে দেশী-বিদেশী সবজির চারা উৎপাদন করছি। আমার পলিনেটে উৎপাদিত চারা এলাকার কৃষকরা তাদের জমিতে রোপন করছে এবং লাভবান হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ক্যাপসিকাম টমেটো ব্রোকলী স্কোয়াশ স্ট্রবেরী মেলন শসা ফুলকপি বাঁধাকপি ব্রাসেলস লেটুসসহ বিভিন্ন শাক-সবজির চারা তৈরী করছি। এ পদ্ধতিতে শাক সবজি চাষে ব্যাপক লাভবান হওয়ার আশা করছেন এখানকার কৃষকরা।
উপজেলার রতনপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মিরাজুল ইসলাম আকুল, প্রতিবেশী সাইফুল, কোরবান আলী বলেন, সবজি চাষের জন্য আগে বীজতলায় চারা উৎপাদন করতাম এখন এই পলিনেট হাউজের চারা ব্যবহার করছি। আমার ন্যায় এলাকার অনেক কৃষকই এখন ইয়াহিয়ার পলিনেট হাউজের চারা তাদের জমিতে রোপন করে সুফল পাচ্ছেন।
পাচঁবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, কৃষির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিত্য নতুন গবেষণা করছে কৃষি বিভাগ। পলিনেট হাউসের মাধ্যমে শীতকালের সবজি গ্রীষ্মকালে এবং গ্রীষ্মকালের সবজিও শীতকালে সহজে চাষা করা যায়। পলিনেট হাউজ ব্যবহারের কারনে ভারী বৃষ্টি বা তীব্র তাপদাহ, কীটপতঙ্গ ও ভাইরাসজনিত রোগবালাই এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নিরাপদ উপায়ে সবজি চাষ করা সম্ভব হচ্ছে এবং কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন বলে জানান ওই কৃষি কর্মকর্তা ।
এসআই/এমবি
