For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

দ্বিগুণ লাভের আশায় আগাম আলু চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা

Published : Tuesday, 17 October, 2023 at 12:35 PM Count : 416


ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার প্রান্তিক ও মাঝারি আলু চাষিরা। আগাম জাতের আলু রোপনের জন্য হিমাগার থেকে বীজ সংগ্রহ,জমি প্রস্তুত, সার প্রয়োগ সহ বিভিন্ন কাজে। দিনভর ব্যস্ত রাখছেন নিজেদের। ভাদ্র আশ্বিন মাসের স্বল্পমেয়াদি আগাম আউশ ও আমন ধান কাটা ও মাড়াই শেষ করে সেই জমিতে আলু রোপনের পালা।
 
তাই এবার আগাম আলু রোপণকে ঘিরে মাঠজুড়ে কৃষকের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। দ্বিগুণ লাভের আশায় মাঠে কেউবা জমি তৈরি, আগাছা পরিষ্কার ও বীজ সংগ্রহ নিয়ে নিজেদের মতো ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি বছর ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরে চাষ হয়েছিল চার হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। সে হিসাবে গতবারের চেয়ে এবার ৪০০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হবে।

উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের ইউনিয়নের রথবাজার গ্রামের আলুচাষি শাহিনুর বলেন, ‘গত বছর ধান কাটার পর দুই একর জমির আলু ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দ্বিগুণ টাকা লাভ হয়েছে। এবারও চার একরের বেশি জমিতে ৫৫ থেকে ৬০ দিনে উত্তোলনযোগ্য সেভেন জাতের আলু রোপণ করছি।’
ওই ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের কৃষক তরিকুল  বলেন, ‘এ অঞ্চলের জমিগুলো (মাটি) একদম উঁচু এবং বালুমাটি মিশ্রিত। ভারি বৃষ্টিপাত হলেও তেমন কোনও বড় ধরনের ক্ষতির ভয় থাকে না। কয়েক দিন আগে অতিবৃষ্টি হলেও মাটি শুষ্ক রয়েছে। তাই আগেভাগে দ্বিগুণ লাভের আশায় আগাম আলু রোপণ করছি। এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় গতবারের চেয়ে ফলন ভালোর আশায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলু রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছি।’ 

উপজেলার  খুটামা ইউনিয়নের কিশামত বটতলা গ্রামের আলুচাষি রিপন ইসলাম বলেন, ‘প্রত্যেক বছরের মতো এবারও ১১ বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণের প্রস্ততি নিয়েছি। এর মধ্যে সেভেন জাতের চার বিঘা জমিতে বাকি সাত বিঘা দুই-একদিনের মধ্যে রোপণ শেষ করবো। আবহাওয়া ভালো থাকলে ৫৮ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে আলু ঘরে তুলতে পারবো। বাজারদর ভালো পেলে সার, বীজ, পরিবহন ও শ্রমিক বাবদ খরচ বাদে ১১ বিঘায় লাভ হবে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত।’

একই এলাকার মমতাজ আলী ছয় বিঘা, আব্দুল জব্বার ১৩ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপণ করছেন। তারা জানান, এ এলাকার মাটি উঁচু এবং বালুমিশ্রিত হওয়ায় বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে আগাম আলু চাষে তেমন কোনও ভয় থাকে না। ফলন কম হলেও রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরে চড়া দামে আলু বিক্রি করে দ্বিগুণ লাভবান হওয়া যায়।

আলুচাষি আব্দুল জব্বার বলেন, ‘যার আলু যত আগে উঠবে সেই কৃষক তত ভালো দাম পাবেন। তাই সবাই টাকা পয়সা ব্যয় করে দুই টাকা লাভের আশায় আগাম সেভেন জাতের আলুসহ গ্র্যানুল্যা, সাকিতা, কারেজ ও জামপ্লাস আলু রোপণ করছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উঁচু জমির আগাম ধান কেটে আলু চাষে মাঠে কাজ করে যাচ্ছ

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহম্মেদ বলেন, ‘উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া আগাম আলু চাষের জন্য খুবই উপোযাগী। প্রতি বছর এ এলাকার কৃষক আগাম আলু চাষ করে দ্বিগুণ লাভ করে থাকেন। গত বছরের চেয়ে এবার ৪০০ হেক্টর বেশি জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য আমাদের কৃষি অফিস থেকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা আগাম আলু চাষে কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।’

তিনি আরো বলেন এখানকার উৎপাদিত আলু দেশের বিভিন্ন জেলায় রফতানি করা হয়। গত বছরের চেয়ে এবার বেশি জমিতে আগাম আলু চাষ করা হবে। অনুকূল আবহাওয়া ও বাজারদর ভালো পেলে কৃষকরা এবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ও লাভবান হবে।

এইচএনএস/এমবি

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,