সোনালী আশে কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ
Published : Thursday, 31 August, 2023 at 5:44 PM Count : 146
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পাটের ভালো ফলন এবং গত বছরের তুলনায় দুইশো হেক্টর জমিতে পাট চাষ বেশি হলেও দামের কারণে কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। তার উপর পানি সংকটে বাড়তি অর্থ গোনায় লোকসানের মুখে পড়েছে কৃষক।
গতকাল বুধবার (৩০ আগষ্ট) সরজমিনে দেখা যায়, কৃষকেরা পাট কাঠি থেকে পাট ছড়ানো নিয়ে সংকটে আছে। তারা গ্রামের মহিলাদের বাড়ি বাড়ি পাটের আশ ছড়ানোর জন্য দিয়ে আসছে। মহিলারা পাট কাঠি থেকে আশ ছাড়িয়ে দিলে পাঠকাটি নিবে সাথে টাকাও দিতে হবে। অথচ গতবার শুধু আশ ছাড়িয়ে পাটকাঠি দিলেই হতো।
উজানচর রিয়াজুদ্দিন পাড়ার পাট থেকে আশ ছড়াচ্ছে মোহনা বেগম। তিনি জানান, পাট কাঠির জন্য মেয়েসহ তারা তিনজন এসেছেন পাটের আশ ছড়াতে। পাশেই বাড়ি হওয়ায় তিনি জ্বালানি যোগাড় করতেই এই কাজ করছেন। তার মতো আশে পাশের অনেক বাড়ি থেকেই মহিলারা এসেছেন পাটের আশ ছড়াতে।
তেনাপচা থেকে গোয়ালন্দ হাটে পাট নিয়ে এসেছেন আনছার ব্যাপারী। তিনি জানান, এই সময় প্রতি বছর আমাদের মাঠে পানিতে থৈ থৈ করে অথচ এবার পানি নেই। পাট ভালো ভাবে জাগ দিতে না পারায় আশ কালো হয়েছে। তাই মাত্র সারে ষোলশ টাকা মনে পাট বিক্রি করলাম। দুই বিঘা জমিতে সাত হাজার টাকা ক্ষতি। শুনলাম সরকারি পাটকল কয়েকটি নাকি বন্ধ রয়েছে। এভাবে আমরা বাঁচব কেমন করে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, সাধারণত বছরের মার্চ মাসের শেষে বা এপ্রিল মাসের শুরুতে বাংলা ফাল্গুন মাসের শেষে বা চৈত্র মাসের শুরুতে পাটের বীজ রোপনের উপযুক্ত সময়। এবছর গোয়ালন্দে চার হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে। দাম বেশি পাওয়ায় প্রায় ২১০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান বলেন, পাটের আবাদ ভালো হলেও অনাবৃষ্টি, খড়ার কারণে অনেকে পাট জাগ দিতে পারছেন না। এই কারণে বাড়তি খরচ হচ্ছে। তাছাড়া প্রতি বছর তিন হাজার টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা। এবার দাম কমার কারণে লোকসানের মুখোমুখি হতে হচ্ছে কৃষকদের।
এসআই/এসআর