সু-উচ্চ টাওয়ার থেকে দেখা যাবে হাওরের অপরুপ সৌন্দর্য
Published : Sunday, 5 September, 2021 at 12:23 PM Count : 369
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাওর হাকালুকি হাওর। এটি মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলার পাঁচটি উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত হলেও হাকালুকি হাওরের প্রায় অর্ধেক পড়েছে বড়লেখা উপজেলায়।
হাকালুকি হাওরে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের সবমিলিয়ে প্রায় ২৩৮টি বিল রয়েছে। শীতকালে এসব বিল ঘিরে পরিযায়ী পাখির বিচরণে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো হাওর এলাকা।
সু-উচ্চ টাওয়ার থেকে চারপাশের নজরকাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর লাল আভা ছড়ানো সূর্যাস্ত, ভ্রমণপিপাসুদের মাঝে এক অন্যরকম উম্মাদনা সৃষ্টি করে। এর আয়তন ১৮ হাজার ১১৫ হেক্টর। তার মধ্যে শুধু বিলের আয়তনই চার হাজার ৪০০ হেক্টর। বুঝতেই পারছেন এর নয়নাভিরাম নান্দনিকতা কেমন হতে পারে।
প্রতি বছর শীতের সময় প্রায় ২০০ প্রজাতির বিরল অতিথি পাখি আসে এই হাওরে। শীতকালে পাখির কলকাকলিতে নতুন ছন্দ পায় হাকালুকি হাওর। তাছাড়া, সারা বছরই দেশিয় নানা প্রজাতির পাখির আনাগোনা দেখা যায় হাকালুকি হাওরে।
বর্ষাকালে আবার নতুন রূপ লাভ করে হাকালুকি হাওর। চারদিকে অথই পানি, তার মধ্যে মাঝিদের নৌকা- এই দৃশ্য হাকালুকিকে দেয় নতুন শোভা। আর এসব নজরকাড়া দৃশ্য দেখতে মানুষ ছুটে চলছে হাকালুকির পানে।
কিভাবে যাবেন?
ঢাকা থেকে বাস অথবা ট্রেনে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ যেতে হবে। অথবা সিলেট শহর থেকে লেগুনা বা সিএনজিতে ফেঞ্চুগঞ্জ আসতে পারেন। ঘোরাঘুরির জন্য সব চেয়ে ভালো হবে নিজস্ব গাড়ি নিয়ে গেলে। হাওরে নৌ ভ্রমণের জন্য ঘিলাছড়া জিরোপয়েন্ট খেয়া ঘাটে নানা ধরনের নৌযান রয়েছে। ভাড়া ঘন্টাপ্রতি দরদাম করে নিতে হবে।
কোথায় থাকবেন?
ফেঞ্চুগঞ্জে থাকার কোন ব্যবস্থা নেই। থাকতে চাইলে আপনাকে সিলেটে ফিরতে হবে। সিলেট থেকে ফেঞ্চুগঞ্জের দূরত্ব ১০ কি.মি.।
-এমএ