কচ্ছপের গতিতে চলছে সড়ক সংস্কারের কাজ
Published : Sunday, 5 September, 2021 at 11:50 AM Count : 409
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর বাজার থেকে মহেশ রোড হয়ে কুড়িঘর বাজার পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের কাজ ধীরগতিতে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
এতে সাধারণ মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ভাঙা সড়কে এখন সিএনজি, অটোরিকশা, টমটমসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
শনিবার বিকেলে স্থানীয়রা জানান, বেহাল রাস্তা দিয়ে চলাচলে সাধারণ মানুষকে দীর্ঘদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিল। তাই বিটঘর মহেশ প্রধান সড়ক সংস্কারের দাবি ছিল এলাকাবাসীর।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১৯ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) অধীনে বরাদ্দ আসে ২২ কোটি ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকার কাজ। কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের মে মাসে। সেপ্টেম্বর মাস শুরু হলেও বিধিনিষেধসহ বিভিন্ন অজুহাতে গড়িমসি করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে শুরু হয় রাস্তার কাজ। তবে কাজের কোন অগ্রগতি নেই। কচ্ছপ গতিতে চলছে বলা যায়।
সিডিউল অনুযায়ী টেন্ডারের মাধ্যমে ২০১৯ সালের নভেম্বর কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এম বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স ও মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজ (জেভি)- বিটঘর বাজার থেকে মহেশ রোড হয়ে কুড়িঘর বাজার পর্যন্ত ১২ হাজার ২৫০ মিটার রাস্তা ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ কোটি ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
এলাকাবাসী জানান, ছোট-বড় গর্তের কারণে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ সময় পার হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি এখানও নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি। দীর্ঘদিন পার হয়ে গেলেও তাদের গাফিলতির কারণে নির্মাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
শনিবার রাতে বিটঘর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, বিটঘর মহেশ সড়ক ব্যবহার করে ছয় ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। রাস্তাটি চলাচলের অনুপয়োগী হওয়ায় প্রতিনিয়ত তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় এলাকার হাজার মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম কাজের ধীরগতির কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছ থেকে পাঁচ মাসের সময় নিয়েছেন। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে যথেষ্ট তাগিদ দেয়া হয়েছে।
-ডিএইচ/এমএ