বিভিন্ন জেলায় চলমান বিধিনিষেধের কারণে রাজধানীর বাজারগুলোতে মাছ, মাংস, পেঁয়াজ ও সবজির দাম বেড়েছে।
বিক্রেতাদের দাবি, সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার ফলেই এ দাম বেড়েছে।
আর ক্রেতাদের দাবি, কোন রকম অজুহাত পেলেই দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা।
শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে প্রায় একই চিত্র দেখা যায়।
কারওয়ানবাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। এছাড়া ডিমের দামও বেড়েছে হালিপ্রতি পাঁচ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন সবজির দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।
দাম বেড়ে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৮০ টাকা, কালো বেগুন ৯০ টাকা, সাদা সাদা/সবুজ বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি শশা ৮০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা এবং আলু ৩০ টাকায় এবং লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবারও এসব সবজির অধিকাংশের দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা কম ছিল।
এক সবজি বিক্রেতা বলেন, অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেছে কয়েকটি সবজির দাম। সরবরাহ কম থাকায় এ অবস্থা। পাইকারি বাজারে প্রতি পাল্লায় (পাঁচ কেজি) সবজির দাম ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে আমাদেরও বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সবজির এমন দামে ক্রেতাদের মধ্যেও কিছুটা অস্বস্তি বিরাজ করছে।
এদিকে, রুই, কাতল, শিং, মাগুর, পাবদা, চিংড়িসহ সবধরনের মাছের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
এক ক্রেতা বলেন, সবজির কোন কমতি নেই। বাজারে বিধিনিষেধের কোন প্রভাবও নেই। সেই হিসেবে সব সবজিরই দাম কমার কথা। কিন্তু বাজারে এসে দেখি সবকিছুরই দাম বেড়েছে। কোন রকম অজুহাত পেলেই দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা।
-এমএ