স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেন থানায় প্রীতিভোজ
Published : Friday, 14 May, 2021 at 10:33 PM Count : 391
স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বরগুনার তালতলী থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া প্রায় দেড় শতাধিক স্থানীয় রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী ও সুশীল ব্যক্তিদের নিয়ে প্রীতিভোজের আয়োজন করেছেন।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে চলে এ প্রীতিভোজ।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। সেখানে একটি দফায় বলা আছে বিয়ে, জন্মদিনসহ যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে কোন রকম জনসমাগম সম্পূর্ণ নিষেধ। সরকারি নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে থানায় প্রায় দেড় শতাধিক স্থানীয় রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী ও সুশীল ব্যক্তিদের নিয়ে বড় পেন্ডেল করে ধুমধাম করে খানাপিনা করানো হয়।
খানাপিনা পরিবেশন করেন পুলিশ সদস্যরা। তবে কারও মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
এতে সচেতন মহল এমন প্রীতিভোজের আয়োজনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছে, আগামী ১৬ মে এর পরে দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আসছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেখানে পুলিশের হাতেই বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন সরকার। কিন্তু এমন সময়ই থানার কর্তারা যদি স্বাস্থ্যবিধিকে তোয়াক্কা না করে লোকজনের জনসমাগমের মধ্যেই এ প্রীতিভোজ করেন। তাহলে সাধারণ মানুষ কতোটা স্বাস্থ্যবিধি মানবে?
তালতলী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, থানার প্রীতিভোজের আয়োজনে আমাকেও দাওয়াত দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধির ঝুঁকি থাকায় আমি যাইনি। করোনাকালে পুলিশের এমন প্রীতিভোজের আয়োজন করা ঠিক হয়নি।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, পুলিশ সদস্যদের খাওয়ানো হয়েছে। কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন না। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খানাপিনা করানো হয়েছে।
বরগুনা পুলিশ সুপার মুহম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।
জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমনা বলেন, সরকারের বিধিনিষেধের ভেতরে কোন কাজ কেউ করতে পারবে না। তবে তালতলী থানার দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের প্রীতিভোজ আয়োজন করা ঠিক হয়নি। আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।
-এমএইচ/এমএ