For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

জয়পুরহাটে সূর্যমূখী চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা

Published : Saturday, 13 February, 2021 at 3:44 PM Count : 159

তেল জাতীয় ফসল সূর্যমুখী চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরাঞ্চলের কৃষি উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে।
 
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, কৃষি প্রণোদনার আওতায় জয়পুরহাট জেলায় চলতি ২০২০-২১ ফসল চাষ মৌসুমে ৫০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ১৫০ বিঘা, আক্কেলপুর উপজেলায় ১০০ বিঘা, পাঁচবিবি উপজেলায় ১৫০ বিঘা, ক্ষেতলালে ৫০ বিঘা ও কালাই উপজেলায় ৫০ বিঘা। 

তেল জাতীয় ফসল সূর্যমুখী চাষের জন্য কৃষি প্রণোদনার আওতায় ৫শ’ জন কৃষককে প্রতি বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষে প্রদান করা হয়েছে  বীজ ও আনুসঙ্গিক খরচ বাবদ এক হাজার ৪শ’ টাকা করে মোট ৭ লাখ টাকা। দেশের বিভিন্ন জেলায় সূর্যমূখীর চাষ হলেও মাটির গুণাগুণ ও আবহাওয়া উপযোগী বিবেচনায় জয়পুরহাটেও সূর্যমুখী চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সূর্যমুখীর বীজে শতকরা ৪০-৪৫ ভাগ উপকারী লিনোলিক এসিড রয়েছে এবং ক্ষতিকর কোন ইরোসিক এসিড থাকে না। 

হৃদরোগীদের জন্য সূর্যমুখী তেল খুবই উপকারী বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ স ম মেফতাহুল বারি।
 
কৃষি বিভাগ জানায়, ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশে সূর্যমুখীর চাষ শুরু হয়। সারা বছর সূর্যমুখীর চাষ করা গেলেও অগ্রহায়ণ মাসে অর্থাৎ নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে চাষ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। সূর্যমুখীর জন্য জমি গভীর ভাবে চাষ দিতে হয়। ৪/৫ বার আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝরঝরে করে নিতে হয়। বর্তমানে দেশে দুটি জাতের সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে থাকে। এরমধ্যে রয়েছে কিরণী (ডিএস-১) ও বারি সূর্যমুখী-২। ১৯৯২ সালে অনুমোদন পাওয়া কিরণী (ডিএস-১) জাতটির কান্ডের ব্যাস ১.৫ থেকে ২.০০ সেন্টিমিটার। পরিপক্ক পুষ্পমঞ্জুরী বা শাখার ব্যাস ১২-১৫ সেন্টিমিটার। প্রতি মাথায় বীজের সংখ্যা ৪০০-৬০০। বীজে তেলের পরিমাণ রয়েছে শতকরা ৪২-৪৪ ভাগ। জাতটি অলটারনারিয়া ব্রাইট রোগ সহনীয়। ৯০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যায়। হেক্টর প্রতি ফলন ১ দশমিক ৬ থেকে ১ দশমিক ৮ মেট্রিক টন পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

অপরদিকে, বারি সূর্যমুখী-২ জাতটির কান্ডের ব্যাস ২ থেকে ২.৪ সেন্টিমিটার। পরিপক্ক পুষ্পমঞ্জুরী বা শাখার ব্যাস ১৫-১৮ সেন্টিমিটার। প্রতি মাথায় বীজের সংখ্যা ৪৫০-৬৫০। তেলের পরিমান রয়েছে শতকরা ৪০-৪৫ ভাগ। ৯৫ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে বারি সূর্যমুখী-২ ফসল ঘরে তোলা যায়। হেক্টর প্রতি ফলন হয়ে থাকে ২ থেকে ২ দশমিক ৩ মেট্রিক টন পর্যন্ত। খরিপ-১ মৌসুমেও বারি সূর্যমুখী-২ চাষ করা যায়। তবে এতে ফলন একটু কম হয়। সূর্যমুখীর বীজ সারিতে বুনতে হয়। সারি থেকে সারির দূরত্ব ৫০ সেন্টিমিটার এবং সারিতে গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ২৫ সেন্টিমিটার। 
জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধলাহার ইউনিয়নের দোগড় রামকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক আবু নাসিম রনক এবার কৃষি প্রণোদনার আওতায় এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। বীজ বপণ করে ৩৭ দিনের মাথায় সূর্যমুখীর চারা গুলো ঝলমলে হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে চারার মাথায় ফুল আসতে শুরু করেছে। ভাল ফলন পাবেন এমন আশায় বুক বাধঁছেন বলে জানান তিনি। 

সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের সব রকম প্রযুক্তিগত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান সদর উপজেলার উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা অমল চন্দ্র মন্ডল। 

এসআর


« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,