For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

শিল্প লবণ খাচ্ছে মানুষ, বাদ যাচ্ছে না গবাদি পশুও

Published : Friday, 8 January, 2021 at 3:22 PM Count : 227

শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে আমদানি করা সোডিয়াম সালফেটকে ভোজ্যলবণ (সোডিয়াম ক্লোরাইড) হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে মেহেরপুরে।

এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এই লবণ খোলা বাজারে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এ লবণ সাধারণ খাবার লবণের সঙ্গে মিশিয়ে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার কোন কোন সময় বস্তা ভর্তি করে ফেরি করে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে। এ শিল্প লবণ (ইন্ডাস্ট্রিয়াল বা গ্লোবাল সল্ট) খেলে কিডনি ও লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হয়। আবার হতে পারে গলগন্ড রোগ।

অধিক মুনাফা পেতে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এ লবণ আনছেন সিলেট, খুলনাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে।
মেহেরপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আব্দুল ওহাবের চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের ঘর থেকে বিক্রি করা হচ্ছে এই আয়োডিনবিহীন লবণ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একই লবণ ব্যবহার করা হচ্ছে চামড়ায়। বস্তা প্রতি ৫শ থেকে ৬শ টাকায় মিলছে এই লবণ। কিনছে বিভিন্ন গ্রাম্য ফেরিওয়ালারা। সস্তায় বিক্রি করছে মেহেরপুর শহর ছাপিয়ে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে। কম দামে লবণ পেয়ে অনেকটা অজ্ঞতা থেকে গ্রামের নিন্ম আয়ের মানুষরা কিনছেন এই লবণ। নিজেও খাচ্ছেন আবার কোন কোন সময় গবাদি পশুকেও খাওয়াচ্ছেন।

১৯৮৯ সালে আয়োডিন স্বল্পতার রোগ নিবারণ আইন পাস করার পর ১৯৯৩ সালে এক সমীক্ষায় বাংলাদেশে ৪৭ দশমিক এক শতাংশ মানুষের গলগন্ড রোগ থাকার কথা ধরা পড়ে। পরে ১৯৯৪ সালে আয়োডিনহীন লবণ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রকাশ্যেই বিক্রি করা হচ্ছে এই লবণ। অথচ এই লবণ ব্যবহার করার নিয়ম বিভিন্ন শিল্প কারখানায়।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মকলেছুর রহমান বলেন, আয়োডিনের অভাবে গলগন্ড রোগ হয়। যাতে থাইরয়েড গ্রন্থি বড় হয়ে গলা ফুলে যায়। এতে বিকলাঙ্গতাও দেখা দিতে পারে। আয়োডিনের অভাবে গর্ভবতীদের গর্ভপাতেরও ঝুঁকি থাকে।

আব্দুল ওহাবের চামড়া ঘরে কর্মরত সুধির দাস নামের এক শ্রমিক বলেন, এই লবণ প্রতিদিনই বিক্রি করি। ৫০ কেজির দাম ৪৮০ টাকা ও ৬০ কেজির দাম ৫৮০ টাকা।

কি কাজে ব্যবহৃত হয় জানতে চাইলে আরেক কর্মচারি বাবু বলেন, বিভিন্ন ভ্যানচালকরা কিনে নিয়ে যায়। এটা মানুষ খায়, আবার আপনি চাইলে গরুকেও খাওয়াতে পারবেন।

লবণে আয়োডিন আছে কি না জানতে চাইলে দু'জনেই বলেন, আমরা জানি না।

এ ব্যাপারে আব্দুল ওহাব বলেন, ৫০ কেজির বস্তা ৪৮০ টাকা ও ৬০ কেজির বস্তা ৫৮০ টাকায় বিক্রি করছি। 

বিক্রি করার কোন অনুমোদন আছে কি না জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল আলম বলেন, এভাবে আয়োডিনবিহীন লবণ মানুষ বা গবাদি পশুকে খাওয়ানোর জন্য বিক্রি করা অপরাধ। এটা মানুষের শরীরে জন্য ক্ষতিকর। আমরা বিষয়টি অবশ্যই
খোঁজ নিয়ে দেখবো। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেবো।

-এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,