For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

খালিয়াজুরীতে ধানের দাম নিয়ে কৃষকের অসন্তোষ

Published : Thursday, 23 April, 2020 at 9:52 AM Count : 519

নেত্রকোণার খালিয়াজুরীর প্রতিটি হাওরে এ বছর বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। অধিক ফলনে কৃষকের সন্তুষ্টি থাকলেও ধানের দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় তারা। 

অপ্রত্যাশিত কম বাজার মূল্যে ধান বিক্রি হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে এ অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আবার বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ধান তোলা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে তাদের।

সারাদেশে মহামারি করোনা আতঙ্ক ভায়বহতা বিরাজ করলেও হাওরে এর প্রভাব নেই বললেই চলে। সোনালী ধানের আহ্বানে সব ভুলে বৈশাখের কদিন পূর্ব থেকেই ধান কাটা শুরু করেছে খালিয়াজুরীর কৃষকরা।

প্রথম দিকে আবহাওয়া ভালো থাকায় নির্বিঘ্নেই সপ্তাহব্যাপী ফসল ঘরে তোলে কৃষক। প্রতি মণ ধান ৭০০/৭৫০ টাকা বিক্রি করতে পেরে কৃষকরাও ছিল অনেকটা ফুরফুরে। প্রথম কদিন রোদেলা দিন থাকলেও ১৭ এপ্রিল থেকে বৃষ্টি হানা দেয়। কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি। কখনো কখনো দিনে রাতে বৃষ্টি।
এতে করে কৃষকের উঠোনে ধানের জটলা পড়ে যাচ্ছে। শুকাতে না পেরে, নষ্ট হচ্ছে অনেকের ধান। আবার অধিক জনসংখ্যার অবাসন সঙ্কট মেটাতে গিয়ে ধান রাখার ঘর বা পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় শুকনো ধান সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না অনেকের। ফলে অনেক কষ্টে আনা ধান বিক্রি করতে হচ্ছে কম দামে।

ধানের দাম নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষিক কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, হাওরের প্রায় ৫০ শতাংশ ধান ইতোমধ্যে কাটা হয়ে গেছে। খালিয়াজুরী উপজেলা থেকে এবার সরকার খুব দ্রুতই ন্যায্যমূল্যে ১ হাজার ৭৩৯ মে. টন ধান সংগ্রহ করবে। তবে সরকার যেন হাওর থেকে আরো বেশি ধান নেয়, কৃষক যেন ভালো দাম পায়, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তিনি কথা বলবেন।

স্থানীয় কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রথম দিকে ৭০০/৭৫০ টাকা মণ বিক্রি হলেও এখন ৪০০-৪৫০ টাকা মণ ধান বিক্রি করছে তারা। নিত্যদিনের ব্যয় ও কৃষি কাজে আনা ঋণের চাপে পানির দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য
হচ্ছেন তারা।

উপজেলার ধানের বেপারী ইয়াকুব মিয়া জানান, ভৈরব, আশুগঞ্জের মোকামে ধানের কোন ক্রেতা নেই। বেচা কেনা না থাকায় এ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তাছাড়া ধান কেনার বেপাড়ী অনেক কম, বড় বড় বেপাড়ীরা এখনো ধান কেনা
শুরু করেননি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চাকুয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, ধানের অনেক বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ধানের দাম নিয়ে কৃষক খুবই অসন্তুষ্ট।

কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শামীম মোড়ল জানান, হাওরে ধানই কৃষকের একমাত্র ফসল। এর ওপরই তাদের জীবিকা। তাই সরকারকে ধানের দামের দিকে নজর দিতে হবে।

উপজেলার ছায়ার হাওরের কৃষক আবুল বাশার জানান, গেল বছরও ধানের ন্যায্যমূল্য পায়নি কৃষক। সরকারের অনেক ভর্তূকি স্বত্তেও শ্রমিকের চড়া মূল্য ও কৃষকের উৎপাদন ব্যয় অনেক। এভাবে বছর বছর দাম না পাওয়া অব্যাহত থাকলে, কৃষক ও কৃষি দুটোই সঙ্কটে পড়বে।

নেত্রকোণা জেলার হাওর বেষ্টিত উপজেলা খালিয়াজুরীতে মোট চাষযোগ্য কৃষি জমির পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার হেক্টর। যার মধ্যে এবার ধান রোপণ করা হয় ১৯ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। এ বছর ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭৮ হাজার ৯২৫ মে. টন। বাম্পার ফলনও হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উঠবে বলে ধারণা
করছেন স্থানীয় কৃষকরা।

-আইএইচ/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,