ইয়েমেনে চার বছরে ৮৫ হাজার শিশুর মৃত্যু
Published : Thursday, 22 November, 2018 at 1:51 PM Count : 250
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেনে গত চার বছরে অপুষ্টি খাওয়ার অভাবে পাঁচ বছরের কমবয়সী অন্তত ৮৫ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে বলে এক ব্রিটিশ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছে।
এ ছাড়া দেশটিতে মৃত্যুর অপেক্ষায় রয়েছেন আরও এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের আকাশে আর শান্তির পায়রা ওড়ে না। দেশটির বিস্তীর্ণ দিগন্ত এখন বোমা বিস্ফোরণের রাজত্ব। মৃত্যুদানবের আখড়া। মানুষখেকো মরণপাখির ডেরা।
যার আতঙ্কে সারা বছরই মৃত্যু আতঙ্কে থাকেন অসহায় ইয়েমেনিরা। চোখ তুললেই যুদ্ধবিমান। দিনরাত পাক খায়। আর মুহূর্তে বোমা। বজ্রপাতের শব্দ তুলে পলকে আকাশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটে বেড়ায় বিমানগুলো।
উধাও হওয়ার আগেই রাশি রাশি বোমা ঢেলে দেয় লক্ষ্যবস্তুর ওপর। কোনোটা মানুষচালিত, কোনোটা মনুষ্যবিহীন সশস্ত্র ড্রোন।
২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত করা সমীক্ষায় বলা হয়, ইয়েমেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর-শহর হোদেইদায় ফের সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকেই সংকট এত ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং অন্য সব সংস্থার ত্রাণ এ শহরের মাধ্যমেই দেশে ঢুকত।
কিন্তু এখানে আমেরিকা সমর্থিত সৌদি আরবের জোট বাহিনী এবং ইরানঘেঁষা হুথি জঙ্গিদের সংঘর্ষ নতুন করে তীব্র আকার ধারণ করায় ইয়েমেনের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর জায়গায় চলে গেছে।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছে, সৌদি জোট হোদেইদার বন্দর বন্ধ করে রাখায় প্রতি মাসে খাবারের সরবরাহ কমে গেছে প্রায় ৫৫ হাজার টন। এ খাবারে ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষের দুর্দশা কমানো যেত। এদের মধ্যে অর্ধেকসংখ্যক শিশু।
খাবারের সরবরাহ আরও কমলে দুর্ভিক্ষ আর আটকানো যাবে না বলে মত সংস্থাটির। হোদেইদাহ বন্ধ বলে এখন দক্ষিণে আডেন বন্দর দিয়ে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে তিন গুণ বেশি সময় লাগছে। ফলে যাদের কাছে দ্রুত খাবার পৌঁছানো দরকার, তা সময়ে পৌঁছাচ্ছে না।
আরইউ