আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাতপাখা মার্কায় ভোট চেয়েছে ইসলামী আন্দোলন মালয়েশিয়া শাখা।
দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুর সিটি শাখার উদ্যোগে হোটেল মেট্রোতে "স্বাধীনতার ৪৭ বছর ও আমাদের প্রাপ্তি" নামক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার কর্ণধার, মালয়েশিয়ার ইসলামি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাফেজ, মাওলানা, মুফতি আমিরুল ইসলাম সাহেব।
বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সংগ্রামী সভাপতি, মালয়েশিয়ার লিংক্কুইন ইউনিভার্সিটির ছাত্রনেতা মাওলানা গাজী আবু হোরায়রা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা তাওহীদুল ইসলাম, মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি (IIUM) এর মেধাবী ছাত্রনেতা মুফতি মঞ্জুরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ক্লাং শাখার সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন, কুয়ান্তান শাখার সভাপতি জনাব তারা মিয়া, জালান ইম্বি শাখার সভাপতি মুফতি উমর ফারুক, কুয়ালালামপুর শাখার সেক্রেটারি হাফেজ ইসমাইল হোসেন ভুইয়া, ক্লাং সিটি শাখার সেক্রেটারি মুজাহিদুর রহমান (মাসুম), ক্লাং শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব রুবেল হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, হা. হাবিবুর রাহমানসহ আরও অনেকে।
স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি দুর্নীতির এক খসড়া তুলে ধরে মুফতি আমিরুল ইসলাম সাহেব বলেন, 'আমাদের দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো পরীক্ষিত, এদের কোন কথা বলা নিস্প্রয়োজন। ইসলামের নামে অনেককে আমরা দেখেছি পালাবদলের, তাই ইসলামি আন্দোলনকে কমপক্ষে পরীক্ষার জন্য হলেও একবার ক্ষমতায়ন করা দরকার।
দুর্নীতির সমীকরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, একেকটা দল ক্ষমতায় গিয়ে শুধুমাত্র নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন, জনগণের ভাগ্য অপরিবর্তীতই থেকে গেল।
বিশেষ অতিথি মুফতি মঞ্জুরুল ইসলাম ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার বিশ্লেষণ করে বলেন, 'অনেকেই বার বার এই ধরনের ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। কিন্তু বাস্তবায়িত হয় নাই, তাই ওদের ইশতেহার হল লৌকিক, এই লৌকিকতার পেছনে না দৌঁড়ে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের বাস্তবসম্মত ইশতেহারকে কাজে লাগানোর এখনই সময়।
কুয়ালালামপুর সিটি শাখার সভাপতি মাওলানা মাসউদ উর রাহমানের সভাপতিত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।
-এএম/এমএ