প্রেসিডেন্ট হলে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ হবে না: ট্রাম্প
Published : Wednesday, 11 September, 2024 at 10:14 AM Count : 97
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি বিতর্ক শেষ হয়েছে। বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টায় মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম এবিসি নিউজের আয়োজনে কমালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়। বিতর্ক মঞ্চে প্রবেশ করেই ট্রাম্পের সাথে হাত মেলান কমালা। এরপর কমালার তার বক্তব্য শুরু করেন এবং একইসঙ্গে শুরু হয় বিতর্ক।
বিতর্কে হ্যারিস তার প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে বলেছেন, পুতিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) একজন স্বৈরশাসক, যিনি আপনাকে খেয়ে ফেলবেন।
অন্যদিকে, ট্রাম্প তাকে ইতিহাসের সবচেয়ে মন্দ ভাইস প্রেসিডেন্ট আখ্যা দেন।
নিজের বক্তব্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘কমালা হ্যারিস ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। তিনি নিজের মতো করে আরব জনগণকেও ঘৃণা করেন।’
তিনি কীভাবে গাজায় চলমান যুদ্ধ শেষ করবেন এবং হামাসের হাতে আটক থাকা বন্দিদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হবেন জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প দাবি করেন, ‘তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকলে এ যুদ্ধই হতো না। কমালা ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। যদি তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, আমার বিশ্বাস দুই বছরের মধ্যে ইসরায়েলের অস্তিত্বই থাকবে না।’
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গা সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রাম্প অনুশোচনা প্রকাশে অস্বীকৃতি জানান।
অন্যদিকে কমলা হ্যারিস সেই ঘটনায় সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা ও বিভাজন থেকে সরে এসে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় সাবেক এই প্রেসিডেন্ট প্রশ্ন তোলেন কেন হোয়াইট হাউসে ক্ষমতায় থাকাকালীন নিজের পরিকল্পনাগুলো কার্যকর করেননি কমালা হ্যারিস।
ট্রাস্প বলেন, ‘তিনি এই সব বিস্ময়কর জিনিস করতে যাচ্ছেন। কেন তিনি এটা করেননি? তিনি সেখানে (হোয়াইট হাউসে) সাড়ে তিন বছর ধরে আছেন। সীমান্ত ঠিক করতে তাদের সাড়ে তিন বছর সময় লেগেছে। তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্যও সাড়ে তিন বছর সময় লেগেছে।’
তিনি বাইডেন এবং হ্যারিসকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট আখ্যা দিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটান।
তালিবান ইস্যুতেও তারা পাল্টাপাল্টি সমালোচনা করেন।
চলতি বছরের ০৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এর আগে দুই প্রার্থীর এ বিতর্ক বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
-এমএ