বস্তায় আদা চাষে লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন শাহারুলের
Published : Friday, 6 September, 2024 at 7:24 PM Count : 231
নিভৃত গ্রামাঞ্চলের আদর্শ কৃষক শাহারুল প্রামানিক। কৃষি ফসলেই নির্ভরশীল। অন্যান্যা ফসলের পাশাপাশি এবার নতুন করে আবাদ করেছে বস্তায় আদা চাষ। ইতোমধ্যে সেই আদা বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখান থেকে লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন বুনছে এই কৃষক।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দ মোজাহিদপুর গ্রামে দেখা যায়- সারি সারি বস্তায় আদা গাছের সবুজের সমাহার। এসময় কৃষক শাহারুল প্রামানিক পরিচর্যায় ব্যস্ত ছিলেন।
জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত রমজান আলী প্রামানিকের ছেলে শাহারুল প্রামানিক কৃষি ফসল উৎপাদন করেই সংসারের মৌলিক চাহিদা পূরণ করেন। বসতবাড়ির পাশে ৯ শতক জায়গা পরিত্যাক্ত আছে তার। এই জায়গা ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষি বিভাগের পরামর্শ নেন। একপর্যায়ে স্মার্ট প্রযুক্তিতে বস্তায় আদা চাষের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত চৈত্র মাসে এক হাজার ৭০০ বস্তায় মাটি ভর্তি করে এর ভেতরে আদাবীজ রোপণ করা হয়। এই জমির ছায়াযুক্ত স্থানে সারিবদ্ধভাবে বস্তা বসিয়ে এ আদা চাষ করা হয়েছে। এতে ৭২ কেজি বীজ রোপণ করা হয়। এরই মধ্যে সেই আদা দেখা দিয়েছে বাম্পার ফলনের। আসছে পৌষ-মাঘ মাসে প্রায় ১ হাজার কেজি আদা ঘরে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন এই কৃষক।
বস্তা পদ্ধতি আদা চাষ বিষয়ে কৃষক শাহারুল প্রামানিক জানান, স্থানীয় বাজার থেকে সারের খালি বস্তা সংগ্রহ করেছেন। একইভাবে ট্রাকভর্তি বেলে দো-আঁশ মাটি কিনেছেন। প্রত্যকটি বস্তায় পরিমাণ মতো জৈব-রাসায়নিক-কম্পোস্ট সার ও দানাদার কীটনাশন ওইসব মাটির সঙ্গে মিশ্রিত করে বস্তাপ্রতি ২-৩টি করে আদা রোপণ করেন। এই ক্ষেত থেকে ফসল উৎপাদন পর্যন্ত বীজ-সার-শ্রমিকসহ অন্যন্যা খরচ প্রায় ৩৩ হাজার টাকা হবে। ফলন ভালো পাওয়া গেলে প্রায় সোয়া লাখ টাকা বিক্রি হতে পারে।
শাহারুল প্রামানিক আরও বলেন, স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তিতে বস্তা পদ্ধতি আদা চাষ করে নিজে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করাই আমার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য। এ অঞ্চলে প্রত্যেক কৃষকের বাড়িতে পরিত্যাক্ত জায়গা রয়েছে। তারা যেন এইভাবে আদা চাষবাদ করেন, সে বিষয়ে সবাইকে উৎসাহ করছি।
স্থানীয় নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, শাহারুল প্রামানিকের বস্তা সম্মিলিত আদা চাষ দেখতে এসে খুব ভালো লাগলো। আমিও এইভাবে আদা চাষের চিন্তা মাথায় রাখলাম।
সাদুল্লাপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন মন্ডল বলেন, সাধারণভাবে আদা চাষের চেয়ে বস্তা পদ্ধতি চাষ করা অনেকটাই লাভজনক। এ নিয়ে অন্যান্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে কৃষক শাহারুল প্রামানিককে লাভবান করতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এসআর