পানির অভাবে আমন আবাদ ব্যাহত
Published : Wednesday, 31 July, 2024 at 3:20 PM Count : 178
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে শ্রাবণ মাসে কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় রোপা আমন চাষাবাদে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। রোপা আমন চাষাবাদে ভরা মৌসুমেও কৃষকরা ধানের চারা রোপণ করতে না পারায় অনেক চাষি সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে পানি নিয়ে চারা লাগানোর কাজ করছে।
এদিকে, প্রখর রোদে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চাষকৃত জমিতে লাগানো চারা পানি অভাবে আবারও শুকিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগে সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই মোতাবেক কৃষকরা চাহিদা মাফিক বীজতলা তৈরি করে চারা বড় করেছেন। অন্যান্য বছর এই এলাকায় কৃষকরা শ্রাবণ মাসে বৃষ্টির পানিতে পুরোদমে আমন রোপণ করে থাকেন। কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারছেন না। শুধু নিচু জমিতে জমে থাকা পানিতে অল্প পরিসরে কিছু চারা রোপণ করা হয়েছে।
অনেকে রাস্তার ধারের খাল থেকে সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে পানি সেচ দিয়ে জমিতে রোপণ করছে। আবার অনেকে গভীর নলকূপের পানি দিয়ে জমিতে রোপণ করা শুরু করেছে।
আমন চাষি মজনু মিয়া জানান, এই এলাকার নিচু জমিতে কৃষকরা আমন রোপণ করতে পারলেও এখন পানির অভাবে উচু ও মধ্যম শ্রেণীর জমিতে চারা রোপণ করতে পারছেন না। ফলে খরচের হার বেড়ে গেলেও অবস্থা বেগতিক দেখে রাস্তার ধারে জমে থাকা পানি ও গভীর নলকূপের পানির উপরই নির্ভর করতে হচ্চে আমন চাষিদের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ রফিকুজ্জামান জানান, এ পর্যন্ত ঘোড়াঘাট উপজেলায় ৫০ ভাগ জমিতে আমন চারা রোপণ করা হয়েছে। পানির অভাবে বাকি জমিতে আমন রোপণের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সেচ যন্ত্র চালু করে জমিতে পানি সেচ দেওয়ার জন্য বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও সেচ পাম্প মালিকদের তাগাদা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এখনই আমন চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। জমিতে পানি না থাকলে সম্পূরক সেচ দিয়ে চারা লাগানোই উত্তম। বৃষ্টির অপেক্ষায় থেকে চারার বয়স বেশি হয়ে গেলে ফলন বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তবে অন্যান্য উপজেলার চেয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলায় জমিতে রোপণের হার মোটামুটি বেশি।
-জেআর/এমএ