প্রশাসনের উচ্ছেদের পর ফের দখল
Published : Monday, 15 July, 2024 at 3:05 PM Count : 210
গাজীপুরের কালীগঞ্জ বাজার বাসস্ট্যান্ডের জমি বেদখল থাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) উচ্ছেদ অভিযানের পর ফের দখল হয়ে গেছে কালীগঞ্জ বাজার বাসস্ট্যান্ডের জমি।
জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার এবং পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কালীগঞ্জ বাজার বাসস্ট্যান্ড। কালীগঞ্জে অপরিকল্পিত ভাবে শহরের প্রধান সড়কে যত্রতত্র যানবাহন পার্কিং করায় যানজট লেগেই থাকতো। অবৈধ স্থাপনার কারণে যানবাহন সারিবদ্ধ করে রাখার জন্য নির্ধারিত জায়গার অভাব ছিল এখানে। পরে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিবলী সাদিক প্রায় ৮০ শতক জমি অবৈধ দখলমুক্ত করেন। পরে দখলকৃত খাস জমিতে বাস, লেগুনা, মাহেন্দ্র, সিএনজি ও ইজিবাইক রাখার জন্য জায়গা করে দেন।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন বাসস্ট্যান্ডের দখলমুক্ত থাকলেও এখন সেখানে দখল করতে গড়ে উঠেছে একাধিক চা, পান ও মুরগির দোকান। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে গেলে দখলদারদের প্রথমে মৌখিক ভাবে জানানো হয়, সেটি স্বেচ্ছায় তুলে নিতে। পরে দখলদাররা সময় নিয়ে যথাসময়ে তা তুলে না নেওয়ায় গত ২৪ জুন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু উচ্ছেদের কয়েকদিন পর আবার তা দখল হয়ে গেছে। কালীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পেছনে বাসস্ট্যান্ডের জায়গায় এসব দোকান বসায় প্রধান সড়কে ফের যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ডের জায়গায় চা, পান ও মুরগি ব্যবসায়ীদের ছোট-বড় দোকান। এই দোকানের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুরো জমির সড়ক সংলগ্ন একপাশে নির্মাণ হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স বাকি অংশের পরিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে না। ফলে ব্যস্ততম এই সড়কে যানবাহনের কারণে সৃষ্ট যানজট বেড়েই চলেছে। আর এতে করে বাড়ছে স্থানীয় মানুষের ভোগান্তি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসস্ট্যান্ডের একাধিক যানবাহন চালক জানান, জমি উদ্ধার হওয়ার পর কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই বাস, লেগুনা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা শৃঙ্খল ভাবে রাখা যেত। সম্প্রতি আবার ছোট ছোট দোকান গড়ে উঠছে। গাড়ি রাখলে ওইসব দোকানিও খারাপ ব্যবহার করে। যে কারণে প্রধান সড়কে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠাতে হচ্ছে। তাই আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ইউএনও এস এম ইমাম রাজী টুলু বলেন, অতি সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পেছনে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে দখলমুক্ত করা হয়েছিল। শুনেছি আবার তারা দখল করেছে। অচিরেই উচ্ছেদ অভিযান আবার পরিচালনা করা হবে। এবার তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-আরএস/এমএ