দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৮ কর্মী-সমর্থকের কারাদণ্ড
Published : Monday, 3 June, 2024 at 3:52 PM Count : 126
পটুয়াখালীর দুমকিতে নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা দেয়া, উত্তেজনা ও গোলযোগ সৃষ্টির দায়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর আট কর্মী-সমর্থককে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাচনে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. জিয়াউল হাসান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাতানী গ্রামের মো. শহীদুল ইসলাম (২০), বাহেরচর গ্রামের সোহাগ (২৪), একই গ্রামের রাকিব শিকদার (২২), রিয়াজ মোল্লা (২২), দুমকি গ্রামের সাইদুল হক (২৫), সাতানী গ্রামের ইমরান হাওলাদার (২৫), দুমকি গ্রামের হাবিবুর রহমান (খোকন) (৪৩) ও ঝাটরা গ্রামের সায়েম খান (৩৪)।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে তিন জন কাপ পিরিচ মার্কার কাওছার আমিন হাওলাদারের ও পাঁচ জন মোটরসাইকেল মার্কার হারুন অর রশিদ হাওলাদারের কর্মী-সমর্থক।
জানা যায়, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের রূপাশিয়া গ্রামের তালুকদার পাড়ায় জনৈক এস এম ফজলুল হকের অসুস্থ শ্বশুরকে দেখতে যান কাপ পিরিচ মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী কাওসার আমীন হাওলাদার। খবর পেয়ে মোটরসাইকেল মার্কার শতাধিক কর্মী-সমর্থক ওই বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নানা উস্কানীমূলক শ্লোগান দেয়। এতে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়।
অবস্থা বেগতিক দেখে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাওসার আমীন হাওলাদার ওই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দু'পক্ষের উত্তেজিত কর্মী-সমর্থকদের সাথে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি হয়। এ সময় নির্বাচনে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়াউল হাসান ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু'পক্ষের অন্তত ১১ জনকে আটক করেন। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইউএনও কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা প্রদান, গোলযোগ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে আট জনের প্রত্যেককে সাত দিনের কারাদণ্ডা দেশ দেন। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তিন কিশোর- নয়ন গাজী (১৪), শাহাদত মৃধা (১৫) ও জায়েদ মৃধা (১৪) কে মুচলেকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আসামিদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. সফিউর রহমান।
-এমপি/এমএ