ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝিনাইদহে জনজীবন বিপর্যস্ত
Published : Monday, 27 May, 2024 at 6:12 PM Count : 138
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝিনাইদহে স্বাভাবিক জীবণ যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। রবিবার (২৬ মে) বিকাল থেকে থেমে থেমে গুড়ি বৃষ্টি হলেও রাত বাড়ার সাথে সাথে ঝড় প্রভাব বিস্তার শুরু করে পুরো জেলা জুড়ে। রাত ১০ টার পর থেকে থেমে থেমে দমকা বাতাসের সাথে রাত ১টার পর থেকে শুরু হয় ব্যাপক বৃষ্টি।
জানা যায়, বৃষ্টির প্রভাবে খেটে খাওয়া মানুষের জীবণ যাত্রা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। রিক্সা, ভান চালকরা পড়েছেন বিপাকে। রাস্তায় মানুষ শূণ্য। জরুরী কাজ ছাড়া মানুষ ঘর থেকে খুব একটা বের হয়নি। স্কুল কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতির হার বলতে গেলে শূণ্যের কোঠায়। তবে সকালে বৃষ্টি উপক্ষা করে অফিস মুখী মানুষ বাধ্য হয়েই ঘর থেকে বের হয়। তবে দূর পাল্লার সব বাস সঠিক সময়ে চলছে বলে জানায় টার্মিনাল থেকে।
ঝিনাইদহের প্রধান প্রধান মোড় যেমন পায়রা চত্বর, মুজিব চত্বর, আরাপপুর মোড়, হামদহ মোড়ে ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ মানুষের পদচারনা নেই বললেও চলে। বড় বড় বিপনী ও শপিং মল এবং দোকান ছাড়া, ছোটখাটো দোকান গুলো খুলেনি। আর যারা খুলেছেন তারা দোকানেই অলস সময় কাটাচ্ছেন।
রিক্সওয়ালা সবেদ আলী জানান, আরে ভাই কোন যাত্রী নাই। রিক্সা নিয়ে বের হওয়ায় ভুল হয়েছে।
ভ্যানওয়ালা কৃঞ্ষপদ জানান, বৃষ্টি হচ্ছে, মালামাল সরবরাহের কোন সুযোগ নেই। একরকম বসেই সময় কাটাতে হচ্ছে।
তবে ঝিনাইদহ কোন আবহাওয়া অফিস না থাকায় কি পরিমান বৃষ্টি হয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রথীন্দ্র নাথ রায় বলেন, আমরা সম্পূর্ন প্রস্তুত রয়েছি যে কোন অবস্থার জন্য। তবে এখনও কোন ধরনের খারাপ খবর পাওয়া যায়নি। ৬ উপজেলায় আলাদা আলাদা মিটিং হয়েছে। শুকনো খাবারসহ ইউনিয়নের সরকারী স্কুলে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, থেমে থেমে বৃষ্টি ও মাঝে মাঝে দমকা বাতাসের মধ্যেই জেলায় এ ঝড় অতিক্রম করছে। মানুষকে নিরাপদে থাকার জন্য মেসেজ প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে যেন কেউ বের না হয়। উপজেলা পর্যায়ে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করে চলা হচ্ছে।
এসএমআরইউ/এসআর