ইন্দুরকানীতে ৩০ কি. মি. এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ
Published : Sunday, 26 May, 2024 at 3:22 PM Count : 161
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বেড়ীবাঁধ না থাকায় নদী তীরবর্তী ৩০ কি. মি. এলাকা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। উপজেলার কঁচা নদীর তীরবর্তী কয়েক হাজার মানুষ যুগ যুগ ধরে এখানে বাস করে আসছেন। তবে নদী পাড়ে বেড়ীবাঁধ না থাকায় এসব গ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে।
স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বাড়লে খুব সহজেই উপজেলার পাড়েরহাট, টগড়া, লাহুরী, গাজীপুর, চারাখালী, ইন্দুরকানী, কালাইয়া, সাঈদখালী, ঢেপসাবুনিয়া, বালিপাড়া, চরবলেশ্বর, চন্ডিপুর, খোলপটুয়াসহ অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়।
এদিকে, ইতিপূর্বে ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, বুলবুলসহ বিভিন্ন সময়ের ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে এলাকার ফসল, গবাদি পশু, গাছপালা, মৎস্য ও মানুষের প্রাণহানি ঘটে। তাই এ উপজেলার মানুষ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কথা শুনলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে রেমাল নামে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এ উপজেলায় নদী তীরবর্তী বেড়ীবাঁধ না থাকায় এ এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কালাইয়া গ্রামের আ. ছালাম জানান, বিভিন্ন সময়ে নদী ভাঙ্গনে বাপ-দাদার জমি-ভিটা গ্রাস করেছে কঁচা নদী। বৃদ্ধা বাবা-মা, ছেলে-মেয়ে নিয়ে নদীর পাড়ের কোনো রকম ঝুঁপড়ি ঘরে বেঁচে আছি। বেড়ীবাঁধ না থাকায় আজ আমরা পথের ফকির।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ করিম ইমন জানান, উপজেলাটি নদী তীরবর্তী হওয়ায় ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়নটি বেশী ঝুঁকিপূর্ণ। বেড়ীবাঁধের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু বকর সিদ্দিকী জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় ইন্দুরকানী উপজেলার পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ২০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমি উপস্থিত থেকে চারদিকে নদী বেষ্টীত চর সাউদখালীর সকলকে সাইক্লোন সেল্টারে নেয়ার ব্যবস্থা করেছি। তাদের মাঝে চিড়া, মুড়ি, সুপেয় পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও নদী তীরবর্তী মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনার জন্য প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত আছে।
-এএইচ/এমএ